কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের গুলাগুলিতে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২০ জন। গুলিবিদ্ধ ১৩ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মাঝে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
কুতুপালং রেজিষ্ট্যাড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপের নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেত্বতে মুন্না গ্রুপের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কুতুপালং ই-ব্লকের ১০-১৫ টি ঝুপড়ী ঘর ভাংচুর করে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকুন : তথ্যমন্ত্রী
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দু’জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও অন্যান্যদের কুতুপালং এনজিওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় রোহিঙ্গারা দিক-বেদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২ টায় কুতুপালং ক্যাম্পের খেলার মাঠ এলাকায় দু,গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।