ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক

পায়েল হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাসির নির্দেশ

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৯০ বার পড়া হয়েছে

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহন বাসের চালক হেলপার এবং সুপারভাইজার সহ 3 জনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেন আদালত। রোববার দুপুরে বিচারক জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটে 2018 সালের 21 শে জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের (Hanif transport) বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হন সাইদুর রহমান পায়েল। দুইদিন পর মুন্সিগঞ্জ উপজেলা ভাটেরচর সেতুর নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, এমনটাই জানান গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ।

মামলার আসামিরা স্বীকার করেন তারা ঘটনার দায় এড়াতে সাইদুর রহমান পায়েল কে হত্যা করেন। আসামিদের জবানবন্দিতে শোনা যায় 22 শে জুলাই ভোরে বাস থেকে নেমে প্রস্রাব করতে রাস্তায় যান পায়েল। বাসে ওঠার সময় দরজার সাথে লেগে আহত হলে এই দায় এড়াতে তিনজন মিলে আহত পায়েলের মুখে থেতলে দিয়ে নদীতে ফেলে দে। তাদের মধ্যবর্তী কোনো কথা কাটাকাটির কথা জানা যায় নি।

পায়েল হত্যা মামলায় গজারিয়া থানা পুলিশ গত ৩রা অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। বিভিন্ন সময়ে 14 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দেন। আসামী পক্ষের ৪ জন সাক্ষী সাফাই হিসেবে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু আসামী পক্ষের এই সাক্ষ্য প্রমাণ কোনো কাজে আসে নি।

পরে মুন্সীগঞ্জের জেলায় এই মামলার বিচারকার্য শুরু হলে পরিবারের আবেদনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই বিচার কার্যক্রম দ্রুত করার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ 2019 সালের নভেম্বরের 18 তারিখে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল 1 এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত 4 অক্টোবর সকলের যুক্তির সাপেক্ষে এ বিচারের রায় ধার্য করেন বিচারপতি মোঃ কামরুজ্জামান। আহত পক্ষের সাক্ষী এবং মামলা দায়ের করা দের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ মামলার রায় দেন বিচারক। মামলার বিচার পড়ার সময় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান। ফাসির কার্যকরের দিন এখনও জানানো হয় নি। তবে শীঘ্রও এই রায় দেওয়া হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তবে এই মামলার ব্যাপারে হানিফ পরিবহন কোনো কথা বলে নি।

পায়েল হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাসির নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহন বাসের চালক হেলপার এবং সুপারভাইজার সহ 3 জনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেন আদালত। রোববার দুপুরে বিচারক জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটে 2018 সালের 21 শে জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের (Hanif transport) বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হন সাইদুর রহমান পায়েল। দুইদিন পর মুন্সিগঞ্জ উপজেলা ভাটেরচর সেতুর নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, এমনটাই জানান গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ।

মামলার আসামিরা স্বীকার করেন তারা ঘটনার দায় এড়াতে সাইদুর রহমান পায়েল কে হত্যা করেন। আসামিদের জবানবন্দিতে শোনা যায় 22 শে জুলাই ভোরে বাস থেকে নেমে প্রস্রাব করতে রাস্তায় যান পায়েল। বাসে ওঠার সময় দরজার সাথে লেগে আহত হলে এই দায় এড়াতে তিনজন মিলে আহত পায়েলের মুখে থেতলে দিয়ে নদীতে ফেলে দে। তাদের মধ্যবর্তী কোনো কথা কাটাকাটির কথা জানা যায় নি।

পায়েল হত্যা মামলায় গজারিয়া থানা পুলিশ গত ৩রা অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। বিভিন্ন সময়ে 14 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দেন। আসামী পক্ষের ৪ জন সাক্ষী সাফাই হিসেবে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু আসামী পক্ষের এই সাক্ষ্য প্রমাণ কোনো কাজে আসে নি।

পরে মুন্সীগঞ্জের জেলায় এই মামলার বিচারকার্য শুরু হলে পরিবারের আবেদনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই বিচার কার্যক্রম দ্রুত করার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ 2019 সালের নভেম্বরের 18 তারিখে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল 1 এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত 4 অক্টোবর সকলের যুক্তির সাপেক্ষে এ বিচারের রায় ধার্য করেন বিচারপতি মোঃ কামরুজ্জামান। আহত পক্ষের সাক্ষী এবং মামলা দায়ের করা দের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ মামলার রায় দেন বিচারক। মামলার বিচার পড়ার সময় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান। ফাসির কার্যকরের দিন এখনও জানানো হয় নি। তবে শীঘ্রও এই রায় দেওয়া হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তবে এই মামলার ব্যাপারে হানিফ পরিবহন কোনো কথা বলে নি।