ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

যে কারণে রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন চান বিজেপি এমপি

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১২০০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সোমবার এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটির মূল সংস্করণের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গৃহীত সংস্করণটি জাতীয় সংগীত করতে হবে। আইএনএর ‘জন গণ মন’ গানের সংস্করণটি অনেক বেশি দেশাত্মবোধক ও নির্ভুল। গণপরিষদে রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘোষণা করেছিলেন, এর শব্দ সংশোধন করা যেতে পারে।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন এ বিজেপি নেতা। 

২০১৬ সালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটি সম্পাদনার জন্য মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন স্বামী। ওই সময় চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, রাজা পঞ্চম জর্জের প্রশংসায় রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছিলেন। 

তবে ওই সময় মোদি সরকার স্বামীর দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

পঞ্চম জর্জ ছিলেন যুক্তরাজ্যের রাজা, ব্রিটিশ অধিপতি ও ভারতের সম্রাট। ১৯১০ সালের ৬ মে থেকে মৃত্যু (১৯৩৬) পর্যন্ত ছিল তার শাসনকাল। 

জলবায়ু পরিবর্তন: পৃথিবী রক্ষায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব

এর আগেও রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখা নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে আপত্তির কথা শোনা গেছে। এমনকি মোদি ক্ষমতায় আসার পর সংঘের শিক্ষা সেলের নেতা দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেয়ার সুপারিশও করেছেন। 

প্রবীণ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, শুধু তার নয়, ‘দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশের মনের কথা’ বলছেন তিনি। তার আপত্তির অন্যতম শব্দটি হলো জাতীয় সংগীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটির ব্যবহার। 

স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সংগীতের কিছু কিছু শব্দ (সিন্ধু) অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। বিশেষ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে। রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র শব্দ বদলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) গাওয়া ‘জন গণ মন’র আদলে লেখা অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় সংগীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পঙক্তি ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় সংগীতের শব্দবদল প্রসঙ্গে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের একটি বক্তব্য উল্লেখ করেছেন স্বামী। তা হলো, ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন– জাতীয় সংগীতের শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য প্রিন্ট, আনন্দবাজার

যে কারণে রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন চান বিজেপি এমপি

আপডেট সময় : ১১:৫১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সোমবার এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটির মূল সংস্করণের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গৃহীত সংস্করণটি জাতীয় সংগীত করতে হবে। আইএনএর ‘জন গণ মন’ গানের সংস্করণটি অনেক বেশি দেশাত্মবোধক ও নির্ভুল। গণপরিষদে রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘোষণা করেছিলেন, এর শব্দ সংশোধন করা যেতে পারে।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন এ বিজেপি নেতা। 

২০১৬ সালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটি সম্পাদনার জন্য মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন স্বামী। ওই সময় চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, রাজা পঞ্চম জর্জের প্রশংসায় রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছিলেন। 

তবে ওই সময় মোদি সরকার স্বামীর দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

পঞ্চম জর্জ ছিলেন যুক্তরাজ্যের রাজা, ব্রিটিশ অধিপতি ও ভারতের সম্রাট। ১৯১০ সালের ৬ মে থেকে মৃত্যু (১৯৩৬) পর্যন্ত ছিল তার শাসনকাল। 

জলবায়ু পরিবর্তন: পৃথিবী রক্ষায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব

এর আগেও রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখা নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে আপত্তির কথা শোনা গেছে। এমনকি মোদি ক্ষমতায় আসার পর সংঘের শিক্ষা সেলের নেতা দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেয়ার সুপারিশও করেছেন। 

প্রবীণ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, শুধু তার নয়, ‘দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশের মনের কথা’ বলছেন তিনি। তার আপত্তির অন্যতম শব্দটি হলো জাতীয় সংগীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটির ব্যবহার। 

স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সংগীতের কিছু কিছু শব্দ (সিন্ধু) অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। বিশেষ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে। রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র শব্দ বদলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) গাওয়া ‘জন গণ মন’র আদলে লেখা অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় সংগীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পঙক্তি ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় সংগীতের শব্দবদল প্রসঙ্গে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের একটি বক্তব্য উল্লেখ করেছেন স্বামী। তা হলো, ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন– জাতীয় সংগীতের শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য প্রিন্ট, আনন্দবাজার