ঢালিউডের চিরন্তন নায়ক
নায়করাজ রাজ্জাকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- আপডেট সময় : ০১:০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২২৭৪৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহীত
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক আলোচিত ও অনন্য নাম, নায়করাজ আবদুর রাজ্জাক। আজ ২১ আগস্ট, ২০২৫, তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের এই দিনে আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছিলেন তিনি। তবে তার অবদান, সৃষ্টিশীলতা এবং দর্শকের হৃদয়ে জায়গা কখনো কমবে না।
নায়করাজ রাজ্জাক শুধু একজন অভিনেতা নন; তিনি ছিলেন ঢালিউডের প্রাণ, সংস্কৃতির বাতিঘর, এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে পরিচয় করানোর এক অমর নক্ষত্র। ষাটের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত টানা তিন যুগ তিনি ঢালিউডকে শাসন করেছেন। তার অভিনয়শৈলী, কন্ঠের মাধুর্য, চোখের ভাব, এবং মৃদু হাসি একে তাকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘অবুঝ মন’, ‘রঙিন সজনী’, ‘অবতার’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘অবুঝ হৃদয়’—এই সমস্ত চলচ্চিত্রে রাজ্জাক তার চরিত্রকে প্রাণ দিয়েছেন এমনভাবে যে চরিত্রগুলি দর্শকের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। তিনি যেখানেই থাকুক, তার অভিনয়ের জাদু সবসময় দর্শকের মনে বেজে চলবে।
ঢালিউডে তার অবদান শুধু অভিনয় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ছিলেন প্রযোজক, পরিচালক এবং এক পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক আইকন, যিনি নতুন প্রতিভা এবং অভিনয়শিল্পীদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তার কাজ ও দৃষ্টিভঙ্গি অনেক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
আজ তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবার, সহশিল্পী, চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং সাধারণ দর্শক গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছে। বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধা স্মরণে তার জীবনের উজ্জ্বল দিকগুলো আবারও সামনে আনা হচ্ছে।
নানান সাক্ষাৎকার, পুরনো চলচ্চিত্রের ক্লিপ এবং ভক্তদের ভালোবাসা—সব মিলিয়ে রাজ্জাকের নাম এখনো জীবন্ত। তার অবদানকে কখনোও ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি বেঁচে থাকবেন তার শিল্পকর্মে, দর্শকের হৃদয়ে এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে।
নায়করাজ রাজ্জাক শুধু ঢালিউডের নয়, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অমর নায়ক। তার নাম চিরকাল বেঁচে থাকবে, নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক অনন্য গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।
এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন।