আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন শ্রমিক লীগের ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে একজন মৃত্যুবরণ করায় এবং আরেকজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় এ দুটি পদ শূন্য রেখেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রমিক লীগের এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
গত বছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলনে ফজলুল হক মন্টুকে সভাপতি, আজম খসরুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছরের জন্য সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রবিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এই কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাজাহান খান, নুর কুতুব আলম মান্নান (রাজশাহী), কামরুজ্জমান চুনু (পাটকল যশোর), হুমায়ুন কবীর (রেল), তোফায়েল আহমেদ (মীরপুর), মো. শফর আলী (চট্টগ্রাম), মো. সাহাব উদ্দন (আদমজী), মো. মুশফিকুর রহমান (বিমান সিবিএ), মো. মহসীন ভুঞা (বিআইডাব্লউটিসি সিবিএ) ও মো. আসকার ইবনে শায়েখ খাজা (ওয়াসা সিবিএ)।
নুরদের নিষিদ্ধের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মো. খান সিরাজুল ইসলাম (স্টীল), সুলতান আহম্মদ (পাউবো) ও বিএম জাফর (খুলনা)।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাউছার আহমেদ পলাশ (নারায়ণগঞ্জ) ও মো. আনিসুর রহমান (জনতা ব্যাংক)।
এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান (রেল), দপ্তর সম্পাদক এটিএম ফজলুল হক (বনশিল্প), অর্থ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ (রুপালী ব্যাংক), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার (তিতাস), শিক্ষা ও সাহিত্যা সম্পাদক মো. শহীদ ডাকুয়া (বিদ্যুৎ), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রমীলা পোদ্দার, আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন (তিতাস সিবিএ), শ্রমিক ইউনিয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান (সোনালী ব্যাংক), ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ হোসাইন (জনতা ব্যাংক), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গাজী আজিজুর রহমান (বিদ্যুৎ), ক্র্যাফট ফেডারেশন বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার কান (চট্টগ্রাম) ও ক্রীড়া ও সাংস্কুতি বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন (খুলনা) হিসাবে নির্বাচত হয়েছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুস সালাম খান, আমজাদ হোসেন, নাজমুল আলম রুবেল, মজিবুর রহমান ও সেলিম আনছারি।