কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল লুকানোকে কেন্দ্র করে শরীফ মিয়া (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯ টার দিকে উপজেলার সাদকখালী মোড় সামনে এ ঘটনা ঘটে।করিমগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল শরীফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
নিহত ব্যবসায়ী করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর উলুখলান গ্রামের মো:আলী আকবরের ছেলে।সে সাদককালী চৌরাস্তা বাজারে মুদির ব্যবসায়ী।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,রাত সোয়া ৯ টার দিকে তিন -চার জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলী বাবা ষ্টোরের মালিক শরীফ মিয়াকে হামলা চালায়। এ সময় তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১০ টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,দুই দিন আগে নিহত শরীফের আলী বাবা স্টোরে সিগেরেট কিনতে আসে লিয়ন।সিগেরেট কিনে যাওয়ার সময় দেখেন তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি নেই।তখন লিয়ন দোকানি শরীফকে ফোন লোকানোর দোষারোপ করে।
এ নিয়ে দুই জনের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে লিয়ন দোকানি শরীফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।পরে রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯ টার দিকে শরীফের দোকানে ঢুকে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে ও পিটে উর্পযুপোরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। শরীফ মিয়া নিজ দোকানে বসে ছিলেন।এসময় তার ওপর হামলা চালানো হয়।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।কে বা কারা হামলা জড়িত,তাদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। অভিযুক্ত লিয়ন(২০) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে,রিয়াদ (১৯)করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে।করিমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম শাহীন মন্ডল জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুদি দোকানি শরীফ মিয়াকে উপযুর্পরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছি।আর ও যারা জড়িত অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।