ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যা

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০২৮ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যা

 

সাইদুজ্জামান ভূইয়া/কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

 

কুমিল্লার মুরাদনগরে গাছ থেকে আম পারা কে কেন্দ্র করে বোন কে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়া (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।

 

ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।

 

নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়ার বোন অরুনা বেগম জানান, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে ৯ বছর বয়সী মাশরাফির সাথে গাছ থেকে আমপারা কে কেন্দ্র করে মোচাগড়া গ্রামের বশির আহম্মেদের ছেলে জুনায়েদ এর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুনায়েদ অরুনা বেগমের চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে অরুনা বেগম কে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার প্রতিবন্ধী ভাই সেলিম মিয়া চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যায়।

 

চিকিৎসা শেষে ঐদিন দুপুর ১টার দিকে সেলিম মিয়া বাড়িতে ফিরে বোনের মারধরের প্রতিবাদ করায় মোচাগড়া গ্রামের বশিরের ছেলে জুনায়েদ (১৫), জসিমের ছেলে আরিফ (৩০), ইয়ার হোসেনের ছেলে ছোটন (১৬), সিরাজ মাওলার ছেলে তাজু (৪০), মিস্টার চেয়ারম্যান এর ছেলে রিফাত (২৮), প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে নুর নবী (১৪) সহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখন করে। মারধরের একপর্যায়ে সেলিম মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।

 

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ১১:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যা

 

সাইদুজ্জামান ভূইয়া/কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

 

কুমিল্লার মুরাদনগরে গাছ থেকে আম পারা কে কেন্দ্র করে বোন কে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়া (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।

 

ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।

 

নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়ার বোন অরুনা বেগম জানান, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে ৯ বছর বয়সী মাশরাফির সাথে গাছ থেকে আমপারা কে কেন্দ্র করে মোচাগড়া গ্রামের বশির আহম্মেদের ছেলে জুনায়েদ এর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুনায়েদ অরুনা বেগমের চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে অরুনা বেগম কে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার প্রতিবন্ধী ভাই সেলিম মিয়া চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যায়।

 

চিকিৎসা শেষে ঐদিন দুপুর ১টার দিকে সেলিম মিয়া বাড়িতে ফিরে বোনের মারধরের প্রতিবাদ করায় মোচাগড়া গ্রামের বশিরের ছেলে জুনায়েদ (১৫), জসিমের ছেলে আরিফ (৩০), ইয়ার হোসেনের ছেলে ছোটন (১৬), সিরাজ মাওলার ছেলে তাজু (৪০), মিস্টার চেয়ারম্যান এর ছেলে রিফাত (২৮), প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে নুর নবী (১৪) সহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখন করে। মারধরের একপর্যায়ে সেলিম মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।

 

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।