ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাবেক সরকারি কর্মচারি আ. রহমান আমিন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কাশেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তার। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, খোকন, সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, কান্তু মিয়া ও সাহেদ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আ. রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউপির শিংগুয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। শিংগুয়া গ্রামের আ. কাদিরের ছেলে কাশেম, সিরাজ ও নজরুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।

শাশুড়িকে জিম্মি করে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ আ’লীগ নেতার

২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল ভোরে আসামিরা আ. রহমানের বসতঘরে হামলা করেন। তারা তাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। হামলায় আহত হন নিহতের স্ত্রী মোছা. নূরুন্নাহার। এ সময় ঘরের টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার ওরফে রাবেয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক বলেন, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাবেক সরকারি কর্মচারি আ. রহমান আমিন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কাশেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তার। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, খোকন, সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, কান্তু মিয়া ও সাহেদ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আ. রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউপির শিংগুয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। শিংগুয়া গ্রামের আ. কাদিরের ছেলে কাশেম, সিরাজ ও নজরুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।

শাশুড়িকে জিম্মি করে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ আ’লীগ নেতার

২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল ভোরে আসামিরা আ. রহমানের বসতঘরে হামলা করেন। তারা তাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। হামলায় আহত হন নিহতের স্ত্রী মোছা. নূরুন্নাহার। এ সময় ঘরের টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার ওরফে রাবেয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক বলেন, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।