চিনি হুকুমু, চিনি সিনিমুং’ আমাদের সংস্কৃতি আমাদের পরিচয়’
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
খাগড়াছড়ির পাহাড়জুড়ে এখন সবুজের প্লাবন। চৈত্রে মাসে পুরোনো পাতা বির্সজন দিয়ে গাছেরা সেজেছে নতুন পত্রপল্লবে। পাহাড় জুড়ে চলছে এখন ‘বৈসাবি আর চৈত্রসংক্রান্তি’ উৎসব পালনের প্রস্তুতি। বছর ঘুরে আবারও এলো ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব বৈসু।
‘চিনি হুকুমু, চিনি সিনিমুং’ অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতি আমাদের পরিচয়, এ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম’র উদ্যোগে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ১৪৩৩ ত্রিপুরাব্দ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার ৮ এপ্রিল সকালে শহরের খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্যসহ বিভিন্ন ধরনের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আলোচনা সভা শেষে বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠদ্বেয় কর্মসূচিতে, খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ মাহি, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ আবুল হাসনাত, জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মোঃ জাহিদ হাসান, জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্নেহাশীষ ত্রিপুরা মিঠুসহ ত্রিপুরা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্ল্যেখ, আগামী ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে শুরু হবে পাহাড়ের প্রধান সামাজিক এবং ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব “বৈসাবিন”। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, চাকমাদের বিঝু আর বাঙালির নববর্ষ নিয়ে বৈসাবিন। বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু-নববর্ষ এর প্রথম চারটি অক্ষরে মিলিত রূপ বৈসাবিন।