ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সচিব ও সিআরওর পদত্যাগ

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৭৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) মো. আব্দুল লতিফ পদত্যাগ করেছেন। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের একটি অংশের স্বেচ্ছাচারিতা এবং যোগ্য কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৩৬০ জন। তবে সিআরও পদে বর্তমানে স্থায়ী কেউ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ পদটির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ডিজিএম আব্দুল লতিফ। আর স্থায়ী কোম্পানি সচিব না থাকায় এ পদের দায়িত্ব পালন করছিলেন জিএম আসাদুর রহমান। গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলানোর পরও এই দুই কর্মকর্তাকে তাদের যোগ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছিল না। বাড়ানো হচ্ছিল না তাদের সুযোগ সুবিধা। এর ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ জন্ম নেয়। আর এ ক্ষোভের ফলেই তারা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান আলালের

এ বিষয়ে পদত্যাগ করা দুই কর্মকর্তার একজন বলেন, ডিএসইর মধ্যে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। যোগ্যদের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ ধরনের কার্যক্রমের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএসইর কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে আমাদের বেতন-ভাতাদি, সার্ভিস রুল, অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দফায় দফায় কমানো হয়েছে, যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৮(ছ) ধারার ব্যত্যয়।

এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কয়েক দফা বৃদ্ধি করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ বিভিন্ন সময়ে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিবর্তে বন্ধ করে দিয়েছে, যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৮(ছ) ধারার পরিপন্থী।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্মীদের যেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করেছে তার একটি চিত্রও তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে-

২০১৮-১৯ অর্থবছরের পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট বাতিল।

২০১৯-২০ অর্থ বছরের ইনক্রিমেন্ট, পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা।

অর্জিত ছুটি বাতিল (কর্মীদের জমানো অর্জিত ছুটি)।

অর্জিত ছুটির টাকা বাতিল। গুটিকয়েক কর্মকর্তাকে টাকা প্রদান এবং বিনা নোটিশে ছুটির টাকা প্রদান না করা।

যাতায়াত ভাতা বাবদ মূল বেতনের ২০ শতাংশ কর্তন।

খাদ্য ভাতা বন্ধ। মাসিক ১ লাখ টাকা ক্যান্টিন বাবদ এবং জুনিয়র কর্মীদের কর্মস্থলের বাইরে কাজের কারণে যে খাদ্য ভাতা প্রদান করা।

প্রফিট বোনাস ৫ শতাংশ বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান।

এলএফএ (লিভ ফেয়ার অ্যাসিসটেন্ট) বাবদ বেতনের ১০ শতাংশ কর্তন।

ডিএসইর আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে প্রতিমাসে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে বছরে ব্যয় হচ্ছে ৩৮ কোটি টাকা। এই অর্থের বড় শতাংশই নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছেন- ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)।

তাদের মধ্যে সিএফও এবং সিটিও পদ দুটিতে দায়িত্ব পালনকারীরা প্রথমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ডিএসইতে ঢোকেন। তবে পরবর্তীতে তারা তাদের পদ স্থায়ী করে নেন। পদ স্থায়ী করা হলেও তাদের বেতন কাঠামো নতুন করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি। উল্টো চুক্তিভিত্তিক উচ্চ বেতনের সঙ্গে তারা নিয়মিত কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

ডিএসইর এমডির পেছনে প্রতিমাসে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ২ লাখ টাকা মূল বেতনে নিয়োগ পাওয়া সিএফও এখন মোট বেতন নিচ্ছেন ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এর সঙ্গে গ্রাচ্যুইটি, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, কার রক্ষাবেক্ষণ, ড্রাইভার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা প্রিমিয়াম, মোবাইল বিল মিলিয়ে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২ লাখ টাকা পান তিনি। সব মিলিয়ে সিএফওর পেছনে প্রতি মাসে ডিএসইর ব্যয় হচ্ছে ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

একই অবস্থা সিওও এবং সিটিও পদ দুটির ক্ষেত্রেও। ২ লাখ টাকা মুল বেতনে ডিএসইতে যোগদান করা সিটিও বর্তমানে মোট বেতন পান ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আর ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল বেতনে যোগ দেয়া সিওও মোট বেতন পান ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এর সঙ্গে গ্রাচ্যুইটি, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, কার রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা প্রিমিয়াম, মোবাইল বিল মিলিয়ে প্রতি মাসে তারা আরও প্রায় ২ লাখ টাকা পান। ফলে এই দুই কার্মকর্তার পিছনেও প্রতি মাসে ডিএসইর সাত লাখ টাকার ওপরে খরচ করতে হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সচিব ও সিআরওর পদত্যাগ

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) মো. আব্দুল লতিফ পদত্যাগ করেছেন। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের একটি অংশের স্বেচ্ছাচারিতা এবং যোগ্য কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৩৬০ জন। তবে সিআরও পদে বর্তমানে স্থায়ী কেউ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ পদটির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ডিজিএম আব্দুল লতিফ। আর স্থায়ী কোম্পানি সচিব না থাকায় এ পদের দায়িত্ব পালন করছিলেন জিএম আসাদুর রহমান। গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলানোর পরও এই দুই কর্মকর্তাকে তাদের যোগ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছিল না। বাড়ানো হচ্ছিল না তাদের সুযোগ সুবিধা। এর ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ জন্ম নেয়। আর এ ক্ষোভের ফলেই তারা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান আলালের

এ বিষয়ে পদত্যাগ করা দুই কর্মকর্তার একজন বলেন, ডিএসইর মধ্যে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। যোগ্যদের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ ধরনের কার্যক্রমের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএসইর কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে আমাদের বেতন-ভাতাদি, সার্ভিস রুল, অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দফায় দফায় কমানো হয়েছে, যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৮(ছ) ধারার ব্যত্যয়।

এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কয়েক দফা বৃদ্ধি করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ বিভিন্ন সময়ে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিবর্তে বন্ধ করে দিয়েছে, যা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৮(ছ) ধারার পরিপন্থী।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্মীদের যেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করেছে তার একটি চিত্রও তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে-

২০১৮-১৯ অর্থবছরের পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট বাতিল।

২০১৯-২০ অর্থ বছরের ইনক্রিমেন্ট, পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা।

অর্জিত ছুটি বাতিল (কর্মীদের জমানো অর্জিত ছুটি)।

অর্জিত ছুটির টাকা বাতিল। গুটিকয়েক কর্মকর্তাকে টাকা প্রদান এবং বিনা নোটিশে ছুটির টাকা প্রদান না করা।

যাতায়াত ভাতা বাবদ মূল বেতনের ২০ শতাংশ কর্তন।

খাদ্য ভাতা বন্ধ। মাসিক ১ লাখ টাকা ক্যান্টিন বাবদ এবং জুনিয়র কর্মীদের কর্মস্থলের বাইরে কাজের কারণে যে খাদ্য ভাতা প্রদান করা।

প্রফিট বোনাস ৫ শতাংশ বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান।

এলএফএ (লিভ ফেয়ার অ্যাসিসটেন্ট) বাবদ বেতনের ১০ শতাংশ কর্তন।

ডিএসইর আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে প্রতিমাসে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে বছরে ব্যয় হচ্ছে ৩৮ কোটি টাকা। এই অর্থের বড় শতাংশই নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছেন- ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)।

তাদের মধ্যে সিএফও এবং সিটিও পদ দুটিতে দায়িত্ব পালনকারীরা প্রথমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ডিএসইতে ঢোকেন। তবে পরবর্তীতে তারা তাদের পদ স্থায়ী করে নেন। পদ স্থায়ী করা হলেও তাদের বেতন কাঠামো নতুন করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি। উল্টো চুক্তিভিত্তিক উচ্চ বেতনের সঙ্গে তারা নিয়মিত কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

ডিএসইর এমডির পেছনে প্রতিমাসে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ২ লাখ টাকা মূল বেতনে নিয়োগ পাওয়া সিএফও এখন মোট বেতন নিচ্ছেন ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এর সঙ্গে গ্রাচ্যুইটি, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, কার রক্ষাবেক্ষণ, ড্রাইভার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা প্রিমিয়াম, মোবাইল বিল মিলিয়ে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২ লাখ টাকা পান তিনি। সব মিলিয়ে সিএফওর পেছনে প্রতি মাসে ডিএসইর ব্যয় হচ্ছে ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

একই অবস্থা সিওও এবং সিটিও পদ দুটির ক্ষেত্রেও। ২ লাখ টাকা মুল বেতনে ডিএসইতে যোগদান করা সিটিও বর্তমানে মোট বেতন পান ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আর ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল বেতনে যোগ দেয়া সিওও মোট বেতন পান ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এর সঙ্গে গ্রাচ্যুইটি, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, কার রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা প্রিমিয়াম, মোবাইল বিল মিলিয়ে প্রতি মাসে তারা আরও প্রায় ২ লাখ টাকা পান। ফলে এই দুই কার্মকর্তার পিছনেও প্রতি মাসে ডিএসইর সাত লাখ টাকার ওপরে খরচ করতে হয়।