ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়িতে আ.লীগের মিছিল: সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার Logo রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি Logo ত্যাগ, নৈতিকতা নাকি দলীয় বলয়; কিশোরগঞ্জের ফাঁকা দুই আসনে কোন পথ বেছে নেবে রাজনীতি? Logo নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: ক্ষমতার লোভে পেয়েছে উপদেষ্টাদের Logo খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে পালিয়েছে দুই আসামি

দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে মিন্নির ফাঁসি কার্যকর হবে!

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১১২০ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতার পর প্রায় অর্ধশত বছর কেটে গেলেও দেশে এখন পর্যন্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে দেড় শতাধিক নারীর ফাঁসির আদেশ হলেও আজ পর্যন্ত কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন কারাভোগ করে বিশেষ ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে গেছেন, কেউবা কারাগারেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। কারও আবার উচ্চ আদালতে আপিল করে শাস্তি কমেছে।

রিফাত হত্যার পর মিন্নিকে শেষ বার্তায় যা বলেছিল নয়ন বন্ড

সর্বশেষ বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ শরীফ ওরফে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় ঘোষণার পর সবার মনে তাই মিন্নির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, নারী আসামিদের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে যাওয়ার পর ফাঁসির রায় আর বহাল থাকে না। সাধারণ কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে তিনি বয়স্ক কিনা, তার শারীরিক অসুস্থতা আছে কিনা, আসামি গর্ভবতী কিনা এবং সর্বোপরি তিনি যদি নারী হন- এসব বিবেচনায় তার মৃত্যুদণ্ড হ্রাস ও স্থগিত করা হয়। ইতিহাস বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে সাজা কমিয়ে দেয়া হতো। এ বিষয়ে অলিখিত প্রথা ছিল।

রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মিন্নি, দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, সারাদেশে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসামি রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। এখানকার কনডেম সেলে বর্তমানে প্রায় ৫০০ জন ফাঁসির আসামি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক নারী।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে কনডেম সেলের বাসিন্দা। তাদের ফাঁসির রায় দীর্ঘদিন আগে হলেও তা কার্যকর হয়নি। দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মধ্যে সবাই হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত। পরিবারের কোনো সদস্যকে হত্যার কারণেই এদের অধিকাংশকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল শুনানির পর ফাঁসির দণ্ড থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত অনেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে মিন্নির ফাঁসি কার্যকর হবে!

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বাধীনতার পর প্রায় অর্ধশত বছর কেটে গেলেও দেশে এখন পর্যন্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে দেড় শতাধিক নারীর ফাঁসির আদেশ হলেও আজ পর্যন্ত কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন কারাভোগ করে বিশেষ ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে গেছেন, কেউবা কারাগারেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। কারও আবার উচ্চ আদালতে আপিল করে শাস্তি কমেছে।

রিফাত হত্যার পর মিন্নিকে শেষ বার্তায় যা বলেছিল নয়ন বন্ড

সর্বশেষ বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ শরীফ ওরফে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় ঘোষণার পর সবার মনে তাই মিন্নির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, নারী আসামিদের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে যাওয়ার পর ফাঁসির রায় আর বহাল থাকে না। সাধারণ কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে তিনি বয়স্ক কিনা, তার শারীরিক অসুস্থতা আছে কিনা, আসামি গর্ভবতী কিনা এবং সর্বোপরি তিনি যদি নারী হন- এসব বিবেচনায় তার মৃত্যুদণ্ড হ্রাস ও স্থগিত করা হয়। ইতিহাস বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে সাজা কমিয়ে দেয়া হতো। এ বিষয়ে অলিখিত প্রথা ছিল।

রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মিন্নি, দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, সারাদেশে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসামি রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। এখানকার কনডেম সেলে বর্তমানে প্রায় ৫০০ জন ফাঁসির আসামি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক নারী।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে কনডেম সেলের বাসিন্দা। তাদের ফাঁসির রায় দীর্ঘদিন আগে হলেও তা কার্যকর হয়নি। দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামিদের মধ্যে সবাই হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত। পরিবারের কোনো সদস্যকে হত্যার কারণেই এদের অধিকাংশকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল শুনানির পর ফাঁসির দণ্ড থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত অনেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।