ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৫৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে বিশ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের জিডির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ।

একই সাথে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ নামে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে রাজধানীর দোহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

প্রিয় নবীকে অবমাননা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এক গৃহবধূকে তার মোবাইলে ফোন করে শারমিন নামে এক নারী। ওই নারী গৃহবধূকে জানায়, তার স্বামীর সাথে অন্য এক মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এবং তারা সেদিনই গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছে। শারমিন নামের সেই অজ্ঞাত নারীর কাছ থেকে এ খবর পেয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এতে ওই গৃহবধূ বিচলিত হয়ে শারমিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে শারমিন তাকে স্বামীর সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কাঁচপুর মেঘনা সেতু এলাকায় যেতে বলে। অজ্ঞাত নারী শারমিনের কথামতো ওই গৃহবধূ সেখানে গেলে মাহফুজসহ আরো দুই তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও গেণ্ডারিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূকে দোহার এলাকায় মাহফুজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে মাহফুজ তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে।

এদিকে, ২৯ অক্টোবর ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হলে তার পরিবার সোনারগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডি ও নিখোঁজ গৃহবধূর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই। প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দোহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহফুজের বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন শুক্রবার রাতে দোহার এলাকা থেকেই মাহফুজকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাহফুজ স্বীকার করে, শারমিন নামের ওই অজ্ঞাত নারী তার বড় ভাই জসীমের স্ত্রী। তারা তিনজন মিলে পরিকল্পিতভাবে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা বাদী হয়ে মাহফুজ, তার বড় ভাই জসীম ও জসীমের স্ত্রী শারমিনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। একই সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি মাহফুজকে তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানোসহ অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে বিশ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের জিডির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ।

একই সাথে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ নামে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে রাজধানীর দোহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

প্রিয় নবীকে অবমাননা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এক গৃহবধূকে তার মোবাইলে ফোন করে শারমিন নামে এক নারী। ওই নারী গৃহবধূকে জানায়, তার স্বামীর সাথে অন্য এক মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এবং তারা সেদিনই গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছে। শারমিন নামের সেই অজ্ঞাত নারীর কাছ থেকে এ খবর পেয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এতে ওই গৃহবধূ বিচলিত হয়ে শারমিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে শারমিন তাকে স্বামীর সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কাঁচপুর মেঘনা সেতু এলাকায় যেতে বলে। অজ্ঞাত নারী শারমিনের কথামতো ওই গৃহবধূ সেখানে গেলে মাহফুজসহ আরো দুই তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও গেণ্ডারিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূকে দোহার এলাকায় মাহফুজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে মাহফুজ তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে।

এদিকে, ২৯ অক্টোবর ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হলে তার পরিবার সোনারগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডি ও নিখোঁজ গৃহবধূর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই। প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দোহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহফুজের বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন শুক্রবার রাতে দোহার এলাকা থেকেই মাহফুজকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাহফুজ স্বীকার করে, শারমিন নামের ওই অজ্ঞাত নারী তার বড় ভাই জসীমের স্ত্রী। তারা তিনজন মিলে পরিকল্পিতভাবে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা বাদী হয়ে মাহফুজ, তার বড় ভাই জসীম ও জসীমের স্ত্রী শারমিনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। একই সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি মাহফুজকে তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানোসহ অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।