মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি দেশ সৌদি আরব ও ইরান সম্প্রতি বাগদাদে বৈঠক করেছে।
ইরাকের একজন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন পশ্চিমা কূটনীতিক এ কথা জানান।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে।
সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল খাদেমির সহায়তায় উভয় দেশ এ বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কেন্দ্রিক চুক্তিটি পুনরায় শুরুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আগ্রহের প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের বৈঠকের এ উদ্যোগ নেয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমানু চুক্তিটি বাতিল করেছিলেন, যা বারাক ওবামার সময় ২০১৫ সালে করা হয়েছিল।
জো বাইডেন পুনরায় চুক্তিটি সক্রিয় করতে চাইছেন।
ব্রিটেনের ফিনান্সিয়াল টাইমস ইরান ও সৌদি আরবের বৈঠকের খবর প্রচারের আগ পর্যন্ত এটি গোপনই ছিল। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, গত ৯ এপ্রিল উভয় দেশের মধ্যে প্রথম দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তবে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বৈঠকের কথা স্বীকার করেনি।
তেহরানও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
কিন্তু ইরাকের একজন সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া একজন পশ্চিমা কূটনীতিক জানিয়েছেন, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি তিনি আগেই জানতে পেরেছিলেন।
সৌদি আরবে ২০১৬ সালে বিশিষ্ট একজন শিয়া আলেমের শিরোশ্চ্ছেদকে কেন্দ্র করে ইরানে সৌদি কূটনৈতিক মিশনে তেহরানের বিক্ষুদ্ধ লোকজন হামলা চালায়। এ কারণে তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
এছাড়া সিরিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত একাধিক আঞ্চলিক ইস্যুতেও দেশ দু’টি বিপরীত অবস্থানে রয়েছে।