ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২৯২ বার পড়া হয়েছে

মিয়া সুলেমান:  প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৫টার দিকে মিছিলসহ তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার থেকে ১০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এতে রাজি নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গত রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশি বাধা, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের কারণে সেদিনই তারা ছত্রভঙ্গ হন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

সোমবার থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানারকে বালিশ বানিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশের ভাষায়, “প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন শিক্ষকরা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই তারা আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হন এবং দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান ও সেখানেই অবস্থান নেন।

অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যালয়ের আঙিনা, লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা পোস্ট দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি নয়, বরং পূর্ণ ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকেই তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এমএইচ/আস্থা

ট্যাগস :

শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

আপডেট সময় : ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

মিয়া সুলেমান:  প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৫টার দিকে মিছিলসহ তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার থেকে ১০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এতে রাজি নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গত রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশি বাধা, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের কারণে সেদিনই তারা ছত্রভঙ্গ হন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

সোমবার থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানারকে বালিশ বানিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশের ভাষায়, “প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন শিক্ষকরা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই তারা আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হন এবং দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা দেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান ও সেখানেই অবস্থান নেন।

অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যালয়ের আঙিনা, লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা পোস্ট দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি নয়, বরং পূর্ণ ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকেই তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এমএইচ/আস্থা