১২টা ১০মিনিটে পুরোপুরি বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কয়লা সংকটে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেল দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। ৫ জুন রাতে বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ জুন দুপুর নাগাদ বিদুৎ কেন্দ্রটির ২য় ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল শাহ আব্দুল হাসিব বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কয়লা না থাকায় গত ২৫ মে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্তমান পাওনা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু টাকা পরিশোধ করছে, যা দিয়ে প্ল্যান্ট চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। তবে বৈশ্বিক সংকটের কারণে ডলার সংকট থাকায় টাকা ডলারে কনভার্ট করতে না পারায় এলসি করা যাচ্ছে না, আর এ কারণে কয়লা আমদানি সম্ভব হচ্ছে না।
২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩শ ২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬শ ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে প্ল্যান্টটির দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৩শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করলেও সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দীর্ঘদিন একটি ইউনিট অলস বসে ছিল।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১ হাজার ৩শ ২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ করতে হচ্ছে।