DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজিজ হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন

News Editor
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০ ১২:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ অপহরণ পূর্বক হত্যা মামলার আসামি জয়নালকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেক আসামি রুস্তম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছেন।

২০১ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আসামি জয়নাল ও রুস্তম দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া তাদের দুজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জামিন জালিয়াতির পর রায় জালিয়াতি

গত ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য  ১৯ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ১ এপ্রিল ধার্য করেন। কিন্তু এরপর করোনাভাইরাসের কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় আর রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালত ২১ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।

মামলায় বলা হয়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাঁকে অপহরণ করেন। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাঁড় উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন :  অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেয়েছেন ড. ইউনূস

মামলাটিতে ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরা হলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।

অভিযোগপত্রে মাকসুদ ও আমানুল্লাহকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত সাত আসামির মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলাটিতে দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক। নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাজসাক্ষী করে উপস্থাপন করা হয়।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০০ সালেই এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে ২০১৭ সালে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন এবং রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪