আবুল ফয়েজ,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে মাটির চুলার ব্যবহার।একসময় গ্রামের গৃহিণীরা রান্নার কাজ কষ্টের মনে করতেন। জ্বালানি সংগ্রহ করে রান্না করতে হীমসিম খেতেন। এই নিয়ে সবসময় থাকতেন হতাশায়। তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানো, বড় করে তুলা, সুদৃষ্টি রাখা কষ্টদায়ক হয়েছিল। রান্নার কাজকে বড় মনে করতেন। আজকাল তা রোধ হতে চলছে।
এখন আর আগেরমত গরুর গোবর দিয়ে জ্বালানি ব্যবহার, বাঁশ, গাছের টুকরা, বিভিন্ন গাছের পাতা সহ বিভিন্ন জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন ছিলো। একদিকে যেমন দেশীয় জ্বালানি জিনিসের বিলুপ্তি ঘটেছে। অন্যদিকে গৃহিণীদের কষ্ট কমে আসছে।
তারা এখন আধুনিক যুগের ছোঁয়া পেয়ে রান্না বান্নার কাজে চুলার সাহায্যে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। প্রতিমাসে নগদ টাকা দিয়ে সিলিন্ডারেরর সাহায্যে গৃহিণীরা রান্নার কাজ করছেন।
গত একসপ্তাহে রামুর বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র। বিভিন্ন দোকানিরা পন্যসামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার সাজিয়ে রেখেছেন। এমনকি পুরনো ব্যবসা বন্ধ করে শুধু সিলিন্ডার বিক্রি করে মুনাফা গুনছেন। আজ থেকে প্রায় একযুগ পূর্বে লোকজন জানতেন না গ্যাসের চুলার ব্যবহার এবং জানতেন না সিলিন্ডার কি? কালের বিবর্তনে এখন রান্নার কাজে চুলার ব্যবহার করায় আগের চেয়ে গৃহিণীদের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে বলে অনেকেই জানান।
হুমকির মুখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার ছালেহা বেগম নামের এক গৃহীনি জানান, একসময় রান্নাবান্নার কাজ তার কাছে অতি কষ্টের মনে হতো।
ধোয়ার কারনে ঘর নিশ্বাস নিতে কষ্ট হতো, ধোয়ায় ঘর কালো হয়ে যেতো, এখন তার কাছে আনন্দ মনে হচ্ছে।কারন আধুনিক যুগের ছোয়ায় তিনি মুগ্ধ। গ্যাসের চুলার ব্যবহারে রান্নাবান্নার কাজ অল্প সময়ে করা যাচ্ছে। অন্যদিকে এ কাজে পূর্বে যে নোংড়া পরিবেশ হতো, এখন আর নেই।
ঘোনাপাড়ার জরিনা নামে এক গৃহিণী জানান মাটির চুলায় রান্নাবান্না করা আগে এক ধরনের জামেলা ছিলো। কারন চুলা তৈরি করা, দেশীয় লাকড়ি সংগ্রহ করা, এরপর আগুন লাগিয়ে ভাত ও তরকারি প্রস্তুত করা যে কতো কষ্ট ছিলো তার তুলনায় গ্যাসের চুলায় অনেক সাচ্ছন্দে রান্নাবান্না করে পেলা যায়।