- আশুলিয়ার জামগড়া ও সাভারের হেমায়েতপুরে পুলিশ ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সাভার প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ার জামগড়া ও সাভারের হেমায়েতপুরে পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) আশুলিয়ার জামগড়া ও সাভারের হেমায়েতপুরে পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকেরা কাজে যোগদানের পরপরই কারখানার ভেতরে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দিলে শ্রমিকেরা বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সাভার চামড়া শিল্পনগরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রাসেল হোসেন মোল্লা বলেন, বেতন ভাতার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই হেমায়েতপুর পদ্মার মোড়ের দীপ্তা অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছে। শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। আজ সকাল ৮টার দিকে ওই কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিক আশপাশের বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, ব্যাবিলন গ্রুপ ও একেএইচ গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ ও ব্যাবিলন গ্রুপ কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানাও ছুটি ঘোষণা করে। পরে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে।
অপরদিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একই দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শ্রমিক আন্দোলনের কারণে আজ সোমবার সকালে জামগড়া এলাকার কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এসব কারখানার শত-শত শ্রমিক কারখানা থেকে বের হয়ে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শ্রমিক অসন্তোষের মুখে জামগড়া এলাকার সেতারা, এনভয়, দি রোজ, ভার্চুয়াল, এম ডিজাইন, উইন্ডি, পাইওনিয়ারসহ ছয়তলা এলাকার প্রায় সব পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এর জের হিসেবে বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।