DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা সংকট কাটিয়ে দ্রুত পূর্বের অবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ

News Editor
অক্টোবর ৯, ২০২০ ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, করোনা সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ অতিদ্রুত পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিফিং-এ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা নিজেকে গর্বিত জাতি হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে হিসেব করে দেখেছি আমরা দ্রুত আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতিতে আছি। শতভাগ এখনো হয়নি, তবে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বর্তমানে যে কাজগুলো চলমান রয়েছে তার ফলে আমরা যে পর্যায়ে আছি আল্লাহর রহমতে যদি অদৃশ্য সেই ভাইরাস যদি নিতান্ত দুর্ভাগ্যজনক কোনো পরিস্থিতিতে না নিয়ে যায়, এভাবে থাকলে ইনশাল্লাহ আমরা অতিদ্রুত আবার আমাদের উন্নয়নের যে স্রোতধারা যে গতিবেগ সৃষ্টি হয়েছে তার ভেতরে চলে আসতে পারবো।

ইতিহাসে সব রেকর্ড ভেঙে ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ

করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানতে ‘জীবিকার ওপর ধারনা জরিপ ২০২০’ পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপের তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ জানায়, মার্চ মাসে বেকারের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। জুলাই মাসে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল ১০ গুণ। সেপ্টেম্বর মাসে বেকারের সংখ্যা কমে ৪ শতাংশে নেমে আসে। যা পূর্বের সংখ্যার কাছাকাছি।

মার্চ মাসে ব্যবসায়ী ছিল ১৭ শতাংশ। জুলাই মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দায় ব্যবসায়ী কমে ১০ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা পূর্বের সংখ্যা ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

গত মার্চ মাসে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেছে ৮ শতাংশ শ্রমিক, জুলাই মাসে কাজ কমে যাওয়ায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করেছে ৪ শতাংশ শ্রমিক। সেপ্টেম্বর মাসে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। যা করোনা পূর্বের সংখ্যার কাছাকাছি।

আরো পড়ুন :  সংসারের চাকা ঘুরছেনা কিশোরগঞ্জের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের

সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে কৃষি কাজে করোনা মহামারী খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। মার্চ মাসে ১০ শতাংশ পরিবার কৃষি কাজে সংশ্লিষ্ট ছিল। জুলাই মাসেও কৃষি কাজে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে মানুষের আয় কমলেও একই সঙ্গে ব্যয়ও কমেছে বলে জরিপের উঠে আসে।

মার্চ মাসে গড়ে পরিবারভিত্তিক মাসিক আয় ছিল ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা। আগস্টে তা কমে ১৫ হাজার ৪৯২ টাকায় নেমে আসে। তবে একই সময়ে মানুষের ব্যয়ও কমেছে। মার্চ মাসে গড়ে পরিবার ভিত্তিক গড় ব্যয় ছিল ১৫ হাজার ৪০৩ টাকা। আগস্টে ব্যয় আরও কমে ১৪ হাজার ১১৯ টাকা হয়।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে মুখ্য সচিব বলেন, আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে সরকার যে টার্গেট করেছিল নিম্ন আয়ের মানুষ যেন পায়। সেটা সাকসেসফুল হয়েছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ বলেছে তাদের আয় ২০ হাজারের নিচে। অর্থাৎ কম আয়ের মানুষ সহায়তাটা পেয়েছে।

দৈব চয়নের মাধ্যমে মোট ২০৪০টি মোবাইল ফোন নম্বর নির্বাচন করে এই জরিপ চালায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। বিবিএস এর ইতিহাসে এটিই প্রথম টেলিফোন ধারণা জরিপ।

করোনা মধ্যেও বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা, প্রধানমন্ত্রীর ৩১টি নির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২১টি প্রণোদনার গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্য সচিব। ২১টি প্যাকেজে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ২১ ধরনের প্রণোদনা পৃথিবীর কোথাও দেয়নি।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নীতি ছিল জীবন এবং জীবিকা-দুটো এক সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪