DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ৭ই মে ২০২৪
ঢাকামঙ্গলবার ৭ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাছ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত

মুহাম্মাদ ফজলুল বারী
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাছ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত। এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে যত নিআমত দান করেছেন তার অন্যতম হল গাছ। বিভিন্ন প্রকারের গাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন। ফলে-ফুলে আমাদের ভরিয়ে দিয়েছেন। আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন।


আমাদের দান করেছেন সবুজ পৃথিবী। আমাদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ‘নিশ্চয় আল্লাহ শস্যবীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি প্রাণহীন বস্তু হতে প্রাণবান বস্তু নির্গত করেন এবং তিনিই প্রাণবান বস্তু হতে নিষ্প্রাণ বস্তুর নির্গতকারী। হে মানুষ! তিনিই আল্লাহ। সুতরাং তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে কোন্ অজ্ঞাত দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?…আর তিনিই ঐ সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তারপর আমি তা দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদের চারা উদগত করেছি, তারপর তা থেকে সবুজ গাছপালা জন্মিয়েছি, যা থেকে আমি থরে থরে বিন্যস্ত শস্যদানা উৎপন্ন করি এবং খেজুর গাছের চুমির থেকে (ফল-ভারে) ঝুলন্ত কাঁদি নির্গত করি এবং আমি আঙ্গুর বাগান উদগত করেছি এবং যায়তুন ও আনারও। তার একটি অন্যটির সদৃশ ও বিসদৃশও। যখন সে বৃক্ষ ফল দেয়, তখন তার ফলের প্রতি ও তার পাকার অবস্থার প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য কর। এসবের মধ্যে সেই সকল লোকের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা ঈমান আনে।’ (সূরা আনআম : ৯৫, ৯৯)।

তিনি আমাদের জন্য সামান্য আঁটি থেকে অঙ্কুরিত করেন শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ। শস্যদানা থেকে উদগত করেন হরেক রকম ফসল। এ যে তাঁর কৃপা, একমাত্র তাঁরই দানÑ একথা তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমরা তাঁর শুকরিয়া আদায় করি।

‘বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই এবং সালাম তাঁর সেই বান্দাদের প্রতি যাদেরকে তিনি মনোনীত করেছেন। বল তো, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, নাকি যাদেরকে তারা আল্লাহর প্রভুত্বে অংশীদার বানিয়েছে তারা? তবে কে তিনি যিনি আকাশমÐলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন? তারপর আমি সে পানি দ্বারা উদগত করেছি মনোরম উদ্যানরাজি। তার বৃক্ষরাজি উদগত করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না…।’ (সূরা নামল : ৫৯-৬০)। এ আয়াতের শেষে বান্দাকে আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বান্দা! এ বৃক্ষরাজি উদগত করার ক্ষমতা তোমার নেই। এ আমি উদগত করি। এ আমার দান। সুতরাং আমারই শুকরিয়া আদায় কর।

গাছ আমাদের কী কী উপকার করে তার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা দেখি, গাছ আমাদের ফল-ফসল দেয়, ফুল দেয়, ছায়া দেয়, কাঠ দেয়। আর বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা জানতে পেরেছিÑ গাছ আমাদের আরো অনেক উপকার করে। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি আর আমাদের শরীর থেকে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়, তা শুষে নেয়Ñ এভাবে গাছ আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে, পরিবেশে ভারসাম্য আনে।

একটি গাছ বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডেরও বেশি ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করে এবং ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আর যেখানে গাছ বেশি থাকে সেখানে বৃষ্টিও বেশি হয়Ñ এ কথা তো সবারই জানা। গাছ থেকে আমরা কাঠ পাই, যা দ্বারা আসবাব-পত্র তৈরি করি। ঔষধি গাছ থেকে আমরা ঔষধ বানাই। ফুল গাছ আমাদের আঙিনা সুন্দর করে; রং-বেরঙের ফুল আমাদের হৃদয়কে রাঙিয়ে দেয়। বিভিন্ন মৌসুমে নানান রকম ফলের স্বাদে-ঘ্রাণে আমরা বিমোহিত হই। এছাড়াও আমরা আরো কত শত উপকার লাভ করি গাছ থেকে। মোটকথা পৃথিবী বাসোপযোগী থাকা ও মানুষের জীবন ধারণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গাছ বা বৃক্ষ। ফলে ইসলাম বৃক্ষরোপণের প্রতি উৎসাহিত করেছে, একে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য করেছে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : যখন কোনো মুসলিম গাছ লাগায়, অথবা কোনো ফসল বোনে, আর মানুষ, পাখি বা পশু তা থেকে খায়, এটা রোপণকারীর জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হয়। (সহীহ বুখারী : ২৩২০)। আরেক বর্ণনায় এসেছে- কিয়ামত পর্যন্ত (অর্থাৎ যতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে বা তা থেকে উপকার গ্রহণ করা হবে) সে গাছ তার জন্য সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে। (সহীহ মুসলিম : ১৫৫২)।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০২
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩৩
  • ৭:৫৩
  • ৫:২১