নিজস্ব প্রতিবেদক:
নদী তীর থেকে মাটি নেয়ার ঘটনায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের
হামলায় হামলায় কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।,
বুধবার রাতে এ ঘটনায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামের সঞ্জিত বর্মণ বাড়িতে রান্না করার চুলা তৈরীর জন্য গ্রামের পাশর্^বর্তী নদী তীর হতে কয়েক টুকরি মাটি আনেন।
চিৎকার শুনে সঞ্জিতকে রক্ষায় পরিবার ও গ্রামের স্বজনরা এগিয়ে আসলে দুবৃক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠে ফের গ্রামের বসত বাড়িতে গিয়ে হামলা করে।
হামলায় দেবেন্দ্র বর্মণ, বাছিন্দ্র বর্মণ, বিউটি বর্মণ,সত্যেন্দ্র বর্মণ,সঞ্জিত বর্মণ,বাবলু বর্মণ, শিপলু বর্মণ, দেবল বর্মণ আহত হন।
আহতদের মধ্যে দেবেন্দ্র বর্মণ, বাছিন্দ্র বর্মণ, বাবলু বর্মণকে বুধবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।,
বুধবার রাতে উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামের হামলার শিকার সঞ্জিত বর্মণ জানান,আমাদের গ্রামের দুই স্কুল ছাত্রীর সাথে বখাটেপনা করলে মাস চারেক পুর্বে পার্শ্ববর্তী টুকেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে মুসা মিয়া সহ চার বখাটের ব্যাপারে সালিশ হয়। সালিশের রায়েই ক্ষিপ্ত হয়ে মূলত বুধবার দুপুরে মাটি আনতে গেলে বখাটে ও তাদের পরিবারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাকে মারধর করে পরবর্তীতে বসত বাড়িতে ডুকে আরো এক দফা হামলা করে ৮ জনকে আহত করে।
বুধবার রাতে উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল মিয়া বলেন, মূলত নদী তীর থেকে মাটি নেয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরের দিকে কথা কাটাকাটি হলে মারধরের ঘটনা ঘটেছে তবে এ ঘটনার সাথে পুর্বে হয়ে যাওয়া সালিশের রায়ের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হলে রাতেই শহিদ ও সিরাজ নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।,-১৫.০৪.২১