DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ৩০শে এপ্রিল ২০২৪
ঢাকামঙ্গলবার ৩০শে এপ্রিল ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

সমুদ্র সম্পদকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

News Editor
নভেম্বর ১৫, ২০২০ ১:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশের সমুদ্র সম্পদকে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে কাজে লাগাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জন্য বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।রোববার (১৫ নভেম্বর) গণভবন থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন নয়টি নৌযানের কমিশন ও একটি ঘাঁটির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও কণ্ঠশিল্পী নকীব খান করোনায় আক্রান্ত

উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিরোধীদলে থেকেও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান শেখ হাসিনা। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি ক্ষমতাসীন সরকারের সংসদে বিরোধীদলে থেকেও আইন পাস করে কোস্টগার্ড গঠনের সূচনাতে দলটি ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।

নতুন এ নয়টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে যুক্ত হওয়া ১০টি নৌযানের মধ্যে পাঁচটি দেশের নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড ও খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন :  গরম কমার সম্ভাবনা নেই, ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

কমিশন হওয়া নৌযানগুলো হলো- দু’টি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (ওপিভি) বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান, পাঁচটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা, বিসিজিএস অপারেজয় বাংলা ও বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা, দু’টি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট (এফপিভি) বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া। ঘাঁটি হলো- বিসিজি বেইজ ভোলা।  

কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কোস্টগার্ড বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:২৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩
  • ১২:০০
  • ৪:৩১
  • ৬:২৮
  • ৭:৪৭
  • ৫:২৮