অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির নানা সূচকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। এ অগ্রগতি থেকে বাংলাদেশ নিচে নামবে তা কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না। এ ছাড়া শিগগির বাংলাদেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে জানান তিনি। বুধবার (৪ নভেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক সিলেটের মোটেল চত্বরে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে বিনিয়োগকারী সংস্থা নিউজিল্যান্ডের ব্লু মাউন্টেইন লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মধ্যে চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন করা হয় ৮টি প্রস্তাব। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি করে প্রস্তাব ছিল। অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। যেখানে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২২৪ কোটি টাকা এবং ইসলামিক ট্রেড ফাইনান্স ও দেশীয় ব্যাংকের ঋণ ৫ হাজার ৪৪০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে চার লটে কাফকো, মুনাজাত কাতার এবং সৌদি বেসিক করপোরেশন থেকে প্রায় ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ব্যাগ গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।
সুনীল অর্থনীতি : প্রতি বছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা
সবচেয়ে বড় অনুমোদিত প্রস্তাব হলো-বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ২০২১ সালে প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) অ্যাডনক, আবুধাবী এবং সৌদি আরামকো থেকে ৫ হাজার ২৪ কোটি ৭৪ লাক টাকায় আমদানি।
এ ছাড়া বিআরটিএর পাঁচ বছর মেয়াদে ঢাকা মেট্রো-১ অফিসে ১২ লেন বিশিষ্ট ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, হার্ডওয়ার ইত্যাদি সরবরাহ, স্থাপন, পরিচালনা, মেইন্টেনেন্স ও মেয়াদ শেষে হস্তান্তরে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে ১০৫ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৬ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।
সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্স এলাকায় একটি আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে পদ্মা অ্যাসোসিয়েট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংকে ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। সে সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকা গুলশান এলাকায় দুটি বেইজমেন্টসহ ১৪তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ” প্রকল্পের পূর্ত কাজে সম্পাদনে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ভেনচার প্রতিষ্ঠান হোসেইন কন্সট্রাকশন এবং আমানত এন্টারপ্রাইজকে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় অনুমোদন দেয়া হয়।