বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
দৈনিক আস্থার সাংবাদিক শেখ সাগরকে বেধড়ক মারধর।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈনিক আস্থার সাংবাদিক শেখ সাগর ও শাওন রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামে জুয়া ও মাদক কেন্দ্রিক নিউজের ভিডিও ফুটেজ কালেক্ট করার সময় তাদের উপর হামলা করে শিবলীর (২৬) নেতৃত্বে মাহফুজ, সবুজ সহ আরো ওজ্ঞাত দশ পনেরো জন যুবক।
রামপালে প্রতারণা করে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ
এ সময় তাদের ক্যামেরা, মোবাইল ইত্যাদি সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং দৈনিক আস্থা রিপোর্টার শেখ সাগর আহমেদ কে আটকে রেখে Times 24 এর সাংবাদিক সাব্বির শাওন কে বেধড়ক মারধর ।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে তাদের জুয়া ও মাদক সেবনের আসর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই সাংবাদিক বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার বাইনতলা ইউনিয়নের গাববুনিয়ায় নিউজের জন্য উপস্থিত হন, সে সময় তারা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেরার পথে তাদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ নির্মমভাবে আহত করে।
পরে সাংবাদিকরা কৌশলে পালিয়ে আসে এবং নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেয়।গাববুনিয়া গ্রামের এই কর্মকাণ্ডকে নেক্কারজনক বলে আখ্যায়িত করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক সংঘ এতে ক্ষোভ ও ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করেন তারা।
দৈনিক আস্থার পক্ষ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছ ।
আরও পড়ুন
নোয়াখালীতে পূর্ব শক্রতার জের আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১২
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের পূর্ব শক্রুতার জের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে এবং আব্দুল হক নামে একজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে । আহতদের অনেকেই নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের করমুল্যা বাজারে পূর্ব শক্রতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান এবং বাবুল ডাক্তারের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দ্বন্দ্ব চলছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে বাকবিতন্ডার জের ধরে দু’গ্রুপের মধ্যে স্থানীয় করমুল্যা বাজারে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে আহতরা হলো, একই এলাকার আমিন উল্যার ছেলে আবদুল হক (৪৮), আমিন উল্লার ছেলে মো. সিরাজ (৫৫), ওবায়দুল্লার ছেলে আবদুর রহমান (৫০), সাইদুল হকের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩২), মজিবুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), ওবায়দুল্লার ছেলে আবদুর রহমান (৪০), নুর আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫), আব্দুল কাদের ছেলে সালা উদ্দিন (১৯), আবদুল গনি ছেলে শহীদুল্লা (৪০), আলী আহম্মদের ছেলেলিটন (২৭), আব্দুল বেচুর ছেলে সিরাজ (৪৫)।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।