DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবুধবার ১লা মে ২০২৪
ঢাকাবুধবার ১লা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামের পতেঙ্গার চরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে

DoinikAstha
মার্চ ১, ২০২১ ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের পতেঙ্গার লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান।

সোমবার (১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেট। দায়িত্ব পালন করছেন এক হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

উচ্ছেদ অভিযান শুরু আগে এক ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছেন। যারা আছেন, তারা এখন যাচ্ছেন।

যারা এখনও নিজেদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে পারেননি, সাহায্য চাইলে আমরা সে সহায়তা দিতেও রাজি আছি। বাসিন্দারা নিজেরাই সরে যাওয়ায় আমাদের জোর করে উচ্ছেদ করতে হচ্ছে না। আজ শুধু আমাদের (বন্দরের) জায়গাটুকু চিহ্নিত করে বেড়া দিয়ে দেয়া হবে।’

এ সময় তিনি লালদিয়া চরের এ অভিযানকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে ‌‘শান্তিপূর্ণ’ উচ্ছেদ অভিযান বলে অভিহিত করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার সকাল ৭টা থেকে পতেঙ্গা বোট ক্লাব প্রাঙ্গণে সমবেত হতে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বন্দর কর্তৃপক্ষের শ্রমিকরা। এর আগেই সেখানে প্রস্তুত ছিল বুলডোজার, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও সাঁজোয়া যান।

সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের ব্রিফিংয়ের পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বন্দর শ্রমিকরা জমিতে বেষ্টনী দেয়ার কাজ শুরু করে।

এর আগে রোববার দিনভর বন্দর ভবনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে উচ্ছেদ অভিযানের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করা হয়।

জানা গেছে, নগরের পতেঙ্গা এলাকার লালদিয়ার চরের ৫২ একর ভূমিতে বাস করে আসছিলেন ২৩শ’ পরিবারের অন্তত ১৪ হাজার মানুষ। দুদিন ধরে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এ অভিযানে ৪৯ বছরে গড়ে ওঠা কয়েক হাজার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, বিদ্যালয়, ক্লাবঘর ইত্যাদি। ৮ মার্চের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।

jagonews24

১৯৭২ সালে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের কাজের কারণে ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি স্থাপন করেন। স্থায়ী বন্দোবস্তের কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদেরকে উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এই লালদিয়ার চরের বাসিন্দাদের ওপর প্রথম উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ইনকনট্রেড লিমিটেডের একটি কন্টেইনার ডিপো স্থাপনের জন্য ওই সময় লালদিয়ার চরের পাঁচশ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই ২৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ২০ একর জমি দখলমুক্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

দশ বছর আগে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট দেয়া এক রায়ে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ‘জরিপ অনুযায়ী’ বন্দর এলাকার লালদিয়ার চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনা দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে সহসাই অবৈধ দখলদারদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উচ্ছেদ করা হবে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে লালদিয়ার চরে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:২৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩
  • ১২:০০
  • ৪:৩১
  • ৬:২৮
  • ৭:৪৭
  • ৫:২৮