অনলাইন ডেস্কঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- জাহানারা চৌধুরী, সেলিনা ও সোহানা। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কুমড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের মেয়ে সোহেলী বলেন, বেলা ১১টার দিকে চঢ়র মাউলি গ্রামের আমার চাচাতো ভাই বুলু সরদারকে বাড়িতে আটকিয়ে মারধরের খবর পাই। খবর পেয়ে কুমড়ি থেকে আমার ভাইয়েরা ঠেকাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং মারধর করে ও সনি সরদার নামের একজনকে গুলি করে। তখন পুলিশের সঙ্গে আমার ভাইদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের পিস্তল পড়ে যায় এবং আমরা সেটা ফেরত দেই। তারপরও পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে আমাদের লোকেদের হামলা চালিয়ে মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করে। এতে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়।
ইউসুফ সরদারের ভাই আসাদ সরদার বলেন, আমি ও আমার ভাই ইউসুফ সরদার বীর মুক্তিযোদ্ধা। পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমার ভাবিকে ও ভাইয়ের ছেলে পলাশের স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করেন।
লোহাগড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমড়ি গ্রামের ওহিদুর সরদার ও লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। ওই দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার সময়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ফিরোজ শেখ পক্ষকে নিবৃত্ত করেন। পরে ওহিদুর সরদার পক্ষের লোকজনকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাদের ২০-২৫ জন তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় এএসআই মীর আলমগীরের পিস্তলটি ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান আটকের কথা নিশ্চিত করে বলেন, এএসআই মীর আলমগীরের কাছ থেকে আটটি গুলিসহ পিস্তলটি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই এলাকায় একটি মসজিদের পাশে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।