ওরা ইউক্রেনীয় হতে পারেনি!
গাজী তারেক রহমানঃ
আজ এক ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দেখে বিশ্বের দেশগুলো যেভাবে আওয়াজ তুলছে। এই আওয়াজের দশ ভাগের এক ভাগও যদি ফিলিস্তিনের নাগরিকদের জন্য তোলা হতো তাহলে হয়তো বছরের পর বছর ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলী বর্বরতা চলে আসতে পারতো না।
ইউরোপ আমেরিকা নয়, শুধুমাত্র মুসলিম দেশগুলোই যদি এই ইসরাইলী আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দিয়ে আসতো তাহলেই কট্টরপন্থীদের ইসরায়েল ভয়ে সংকুচিত হয়ে আসতো অনেক আগেই। আমরা আজ ঠিকই ইউক্রেনে শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি অথচ ফিলিস্তিনকে যেন আমরা চিনিই না। বিশ্বমানবতার এই দ্বিমুখী আচরণ মানবসভ্যতার এক ভয়াবহ সংকট!
ধর্মের ভিত্তিতে যখন ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনের পাশে সর্বোচ্চ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সেখানে ফিলিস্তিনের পাশে মুসলিম দেশগুলোর নামকাওয়াস্তে সমর্থন মুসলমানদের আত্মপরিচয় সংকটেরই নিদর্শন।
সমস্যাটা হচ্ছে ইউক্রেন-হাঙ্গেরী-ফ্রান্স-ইটালীর পাশে যখন আমেরিকা আছে বিপরীতে রাজনীতির মাঠে ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়ার পাশে সৌদি আরব নেই। অথচ মুসলিম বিশ্বের মিলনের স্থান সৌদি আরব অস্ত্র আমদানীতে শীর্ষ একটি দেশ। তারা হজ্ব, ওমরাহসহ পর্যটন খাত থেকে যে পরিমান রাজস্ব অর্জন করে সেই টাকার ক্ষুদ্র একটা অংশ যদি যুদ্ধ বিধ্বস্ত মুসলিম দেশগুলোর কল্যাণ ও ঘুরে দাঁড়ানো ও প্রতিরোধের কাজে সাহায্য করতো তাহলে মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়া, আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলো যুগ যুগ ধরে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে থাকতো না। আফসোস এই যে সৌদির নেতৃত্ব আজ ভুলে গেছে চেতনা’!
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ হোক এটা আমাদেরও চাওয়া। তবে সেই সাথে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাদুনিয়ার অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতেও ইসরায়েল, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ ন্যাটোগোষ্ঠীর আগ্রাসন বন্ধ হোক এটাও প্রধান দাবী।