DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কঠোর অবস্থানে দুই পক্ষ

Astha Desk
জুলাই ১৩, ২০২৩ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কঠোর অবস্থানে দুই পক্ষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের ক্রমেই সরগম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এক দিকে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট অপর দিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। ক্ষমতা ধরে রাখা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নে কেউ কাউকে একচুলও ছাড় দিতে নারাজ। দুই দলের এমন কঠোর অবস্থান দেশের জন্য ভালো বার্তা দিচ্ছে না। এতে আলোচনার পথ বন্ধ হতে পারে। দেশ এগোতে পারে সংঘাতের পথে।

সংবিধানসম্মতভাবে নিজেদের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগের প্রতি অনাস্থা এনে তাদের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না বিএনপি। এ জন্য সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সমমনা দল ও জোটগুলোকে নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের জন্য তারা এক দফার ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে দেওয়া ওই ঘোষণায়ও অগ্রাধিকার পেয়েছে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি। বিএনপির এই সমাবেশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করে নিজেদের শক্তি দেখানোর পাশাপাশি কঠোর অবস্থানে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এক দফার ঘোষণা দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, এই ঘোষণার পরে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পরিষ্কার করে বলে দেয়। পরে কিন্তু পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না।

আর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করে ভিন্ন আঙ্গিকে এক দফার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির খবর জানেন? তাদের এক দফা জানেন? তাদের এক দফা হলো, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদেরও দফা একটা, শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।

দুই দলের এমন কঠোর ও মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ গতকাল বলেন, ‘সরকার জোর করে নির্বাচন করতে চাইবে, ওরাও (বিএনপি) করতে দেবে না। যারা বলছে, তারাও জানে না কী হবে।এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি সংঘর্ষমুখী অবস্থান। আপাতত তাই মনে হচ্ছে।

আরো পড়ুন :  রামগড়ে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিরাজমান পরিস্থিতিতে সংলাপকে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বলে মনে করছেন অনেকে। দুই দলের মধ্যে সংলাপের তাগিদও আসছে নানা মহল থেকে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে আগামীতে সুষ্ঠু, অবাধ ও সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বিদেশিরা। মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়টিতেও এ বিষয়ে স্পষ্ট ছাপ লক্ষ করা গেছে। নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না।

আর আগামী দিনে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, এ তথ্যানুসন্ধান করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল। তারা এসব বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদলও ঢাকায় রয়েছে। নির্বাচন সামনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সংলাপ করার চাপ আছে আন্তর্জাতিক মহলেরও। তারাও চায়, আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হোক। যদিও সেই সংলাপ নিয়ে দুই দলের রয়েছে প্রবল অনীহা।

তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করে বিএনপির নেতারা বলছেন, ২০১৮ তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে লাভ হয়নি। তারা (আওয়ামী লীগ) সংলাপে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এই অবস্থায় তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সরকার যদি পদত্যাগ করে, তখন সংলাপ হতে পারে। এর আগে কোনোভাবেই নয়।

সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির এ ভাবনা গতকাল ভাষণেও দিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যাদের (বিএনপি) হাতে রক্তের দাগ, তাদের সঙ্গে আপস-আলোচনা হবে না।

নির্বাচন ও সংলাপ নিয়ে দুই দলের এমন মুখোমুখি অবস্থান আগামীর দিনগুলোতে দেশের জন্য খুবই খারাপ সময় বয়ে আনবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘যে কথা আমরা শুনেছি, এটাকে একেবারে আলোচনার রাস্তা বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। দুই দল এমন অবস্থানে অনড় থাকলে তাদেরকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০