রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। হামলায় দেশটির সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর বিবিসির।
সোমবার (৮ জুন) দিনের বেলায় চালানো এক হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। হামলায় ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল ‘ওখমাদিত শিশু হাসপাতাল’ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালে বিস্ফোরণে কমপক্ষে দুজন মারা গেছে বলে কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভিরিয়ের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানিয়েছেন, সেখানে হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় পোকরোভস্ক শহরে ৩ জন এবং নিপ্রো শহরে ১ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড সফরে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, বেসামরিকদের ওপর আঘাত হানার কারণে রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ, নিপ্রো, ক্রিভিরিয়, স্লভিনস্ক, ক্রামাতোর্স্কে আঘাত হানা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখা গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে ওখমাদিত শিশু হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে ধ্বংসের চিত্র উঠে এসেছে।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে করা এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকা পড়ে আছেন। অন্যদিকে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি কিয়েভে হওয়া ‘অন্যতম মারাত্মক’ হামলা। ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এমন এক সময় চালানো হলো যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোতে আছেন। সোমবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠক করার কথা।