ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা!

নদীতে কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৪৯ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আবারও তীব্র ভাঙন কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন ভাঙন প্রতিরোধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আবারও দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি ভাঙন কবলিতদের। এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে আবারও বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর।

ভেঙে যাচ্ছে ঘর বাড়ি, শত বছরের পুরনো মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেস কাটতে না কাটতেই আবারও যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ প্রায় ৫টি গ্রাম। গত ৭দিন হলো প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত মানুষ জন।

ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি যে অনেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে নেয়ার সুযোগও পাচ্ছেনা।  এসব ভাঙন কবলিত মানুষ ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও ভাঙন রোধে কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। দ্রুত স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবি ভাঙন কবলিতদের।

নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণ: ৩৫ পরিবারে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান

স্থানীয় জন প্রতিনিধি বলছেন সরকারী সরকারী ত্রাণ সহযোগিতা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অনেকেই শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনিও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এমন সংবাদে অসহায় বোকা মানুষগুলো আবারও তার জন্য সারাদিন রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

দিন শেষে সন্ধ্যার পর স্পিড বোর্ডে করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এলেও তিনি পাড়ে নামেননি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবারও যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এ বছর বন্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রায় ৫টি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো প্রায় শতাধিক ঘর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ট্যাগস :

নদীতে কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

আপডেট সময় : ১১:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আবারও তীব্র ভাঙন কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন ভাঙন প্রতিরোধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আবারও দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি ভাঙন কবলিতদের। এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে আবারও বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর।

ভেঙে যাচ্ছে ঘর বাড়ি, শত বছরের পুরনো মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেস কাটতে না কাটতেই আবারও যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ প্রায় ৫টি গ্রাম। গত ৭দিন হলো প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘর বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত মানুষ জন।

ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি যে অনেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে নেয়ার সুযোগও পাচ্ছেনা।  এসব ভাঙন কবলিত মানুষ ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও ভাঙন রোধে কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। দ্রুত স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবি ভাঙন কবলিতদের।

নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণ: ৩৫ পরিবারে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান

স্থানীয় জন প্রতিনিধি বলছেন সরকারী সরকারী ত্রাণ সহযোগিতা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অনেকেই শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনিও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এমন সংবাদে অসহায় বোকা মানুষগুলো আবারও তার জন্য সারাদিন রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

দিন শেষে সন্ধ্যার পর স্পিড বোর্ডে করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এলেও তিনি পাড়ে নামেননি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবারও যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এ বছর বন্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রায় ৫টি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো প্রায় শতাধিক ঘর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।