ডাক্তার নাকি রোগীর শেষ ভরসার যায়গা,কিন্তু সেই ডাক্তার যখন দের বছরের বাচ্চার সাথেও চিকিৎসা নিয়ে খেলা করে।তখন সেই ডাক্তারদের উপরে মানুষের সব ভরসা উঠে যায়।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতালে প্রতি শুক্রবার নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞ ডা. রহমত উল্লাহ পাবেল রোগী দেখেন। ৭ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে এক দম্পতি তাদের দের বছরের বাচ্চার কানে ব্যথা নিয়ে ডাঃ পাবেলের সাথে দেখা করলে ডাক্তার ২ ঘন্টা পর ওটিতে নিয়ে কান ওয়াশ করবে বলে ২ ঘন্টার জন্য একটি কানের ড্রপ দেয়।
২ ঘন্টা পর বাচ্চার কানে ব্যথা নিয়ে আবার গেলে ডাঃ পাবেল রোগীর স্বজনদের সন্ধ্যার পরে যাওয়ার কথা বলেন। আবার সন্ধ্যার পরে বাচ্চাটিকে নিয়ে গেলে ডাঃ পাবেলের খোজ নেই,তার স্টাফদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে ডাঃ পাবেল বলেছেন তাদের হাতে বাচ্চার কান ওয়াশ করাতে ডাক্তারকে দিয়ে করাতে হলে অনেক টাকা দিতে হবে।
বাচ্চার স্বজনরা তখন স্টাফদের বলেন আপনারা তো ডাক্তার না আপনারা বললেই তো আপনাদের দিয়ে ছোট বাচ্চার কান ওয়াশ করাবো না।আর টাকা তো দিবো আগে ডাক্তার নিজের কাজ শুরু করুক।
তখন স্টাফগুলো আবার টাকা দিতে বলেন কিন্তু ডাক্তারের কোনো পাত্তা নেয়। প্রায় অনেক্ক্ষণ বাচ্চার স্বজনরা ডাক্তারের কথা বলার পর ডাক্তার পাবেল আসেন। এসে তিনি বাচ্চাটিকে নিয়ে ১ সপ্তাহ পর দেখা করতে বলেন অথচ উনারই বাচ্চাটিকে ওটিতে নিয়ে কান ওয়াশ করার কথা ছিলো।
তখন বাচ্চার বাবা ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে কেনো সারাদিন ঘুরানোর পর এখন বলছে তিনি ওয়াশ করবেন না ঠিক তখনই ডাক্তার পাবেল বাচ্চার বাবা এবং মার সাথে অতিরিক্ত খারাপ আচরন করেন।
এই বিষয়ে বাচ্চার বাবা বলেন, আমি আমার দের বছরের বাচ্চার কানে তীব্র ব্যথা নিয়ে ডাঃ পাবেলের সাথে দুপুরে দেখা করি, তখন উনি বলেন ওটিতে নিয়ে কান ওয়াশ করলে বাচ্চাটি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি আমার বউকে নিয়ে ৩ বার উনার কাছে গেলেও উনি আমার বাচ্চাটিকে ধরেননি। যখন উনার সাথে আমি কথা বলার সুযোগ পায় তখন সন্ধ্যা ৭ টা বাজে আমি উনাকে বললাম যে সারাদিন আমাদের এইভাবে না ঘুরিয়ে প্রথম বলে দিলে আমি অন্য কোনো ডাক্তারের কাছে যেতাম বাচ্চাটিকে সারাদিন কষ্ট দিতাম না এই কথা শুনে তিনি আরো রেগে গিয়ে আমার সাথে খারাপ আচরন করেন এবং আমার বউয়ের সাথেও উচ্চ স্বরে কথা বলে।তখন আমি আমার অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে রেগে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসি পরদিন বাজিতপুর উপজেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই।
এ বিষয়ে বাচ্চার মা বলেন,উনারা রোগী দেখার আগে টাকা নেন। কিন্তু রোগীর ভালো মন্দ দিক বিবেচনা করেন না শুধু নিজের টাকা পেলেই হয় আমরা বার বার বলার পরেও তিনি চিকিৎসা করেন নাই আগে বিজিটসহ সব টাকা দিয়ে দিয়েছি,উনার ওটি করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখে শুধু ওটির বিলটা আগে দেয়নি।
আমি একজন মা হিসেবে এই ডাক্তারের বিচার চাই। এই ভাবে অসুস্থ বাচ্চার সাথে টাকার খেলাটা না খেললে ও পারতেন।
অন্যদিকে, রোগীর স্বজনরা রাগারাগি করার এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসে বলেন তারা এই বিষয়টি দেখবেন।
পূর্ণিমা হোসাইন,ভৈরব প্রতিনিধি