কুমিল্লায় কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে রঙিন প্রকৃতি
হাবিবুর রহমান মুন্না/কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ। কৃষ্ণচূড়া ফুল। তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে
ধরে প্রকৃতিতে। তখন যে কারো মন-প্রাণ আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।
এই যেমন কুমিল্লার রেলওয় স্টেশন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছটিতে আগুন লেগেছে, কাছে গেলে চোখ আটকে থাকে রক্তিম আভার ফুলের সমাহারে গাছের নিচে অজস্র ঝড়াপাপড়ি যেন বিছিয়ে রাখা রেলস্টেশন
জুড়ে লাল গালিচা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার অপরুপ সৌন্দর্য। প্রতিদিন এ
রেলস্টেশনে অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন জেলার নানা প্রান্তে থেকে আসা শত শত দর্শনার্থী।
এছাড়া কুমিল্লার শহরের বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে, বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চা-বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে লাল ফুলে ভরা কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। পথচারিরা এ দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ান। উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার অপরুপ সৌন্দর্য। প্রকৃতির এই
দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক সৌন্দর্য মন-প্রাণে কিছুক্ষনের জন্য হলেও এনে দেয় প্রশান্তি।
জেলা প্রশাসক রাস্তার প্রবেশ পথে দু’পাশে একের পর এক কৃষ্ণচূড়ার বড় বড় গাছ। দূর থেকে দেখা যায়, এ গাছগুলোতে ফুটে আছে লাল ফুল। এ এক অপরুপ দৃশ্য। এ পথে চলাচলকারি পথচারি, পর্যটক-দর্শনার্থী, প্রকৃতিপ্রেমীরা ফুলে ফুলে ভরা এসব দৃশ্য দেখে
হন মুগ্ধ । কেউ কেউ এখানে থেমে যান। ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছবি তুলতে।
আজ মঙ্গলবার সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব স্থান ছাড়াও শহরতলীর ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ, গোমতি নদীর পাড়, ঠাকুরপাড়া, অশোকতলা, মহিলা কলেজ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে ফুটে থাকা রক্তিম লাল ফুলগুলো সৃষ্টি করেছে এক বৈচিত্রময় পরিবেশ।
প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে পথে-প্রান্তরে এমন মুগ্ধতা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। সমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যেন কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রাঙিয়েছে প্রকৃতি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুমি আক্তার বলেন, কলেজের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো রক্তিম লাল ফুলে ভরা ।এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য ক্যাম্পাসপ্রাঙ্গনে। কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রাণ ভরে উপভোগ করে কৃষ্ণচূড়ার নজরকাড়া সৌন্দর্য।