ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস

গণধর্ষণ যারা ঘটিয়েছে তারা ছাড় পাবে না :ছাত্রলীগ

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৫৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের এমসি কলেজে বরাবরই লাগামহীন ছাত্রলীগ। ৯ বছর ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে মরিয়া দুটি গ্রুপ। ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও খুনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অপরাধে জড়িত সংগঠনের কেউই ছাড় পাবে না।

২০১২ সালের আগস্টে, ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে, পুড়িয়ে দেয়া হয় সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়, দুঃখ ও আক্ষেপ উঠে আসে খোদ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর চোখেমুখে।

দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে বাতিল হয় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। মামলায় আসামি করা হয় ২৯ জনকে। এরপর নতুন ভবনে পথচলা শুরু হয় ছাত্রাবাসটির। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি বিচার।

এরপর নানা সময় উত্তপ্ত থেকেছে সিলেটের প্রাচীন এই কলেজ ক্যাম্পাস। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের গ্রুপিংয়ে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম করে সব সময় আলোচনায়। অপরাধের সবশেষ তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ।

সমালোচনার মুখে থাকা সিলেট ছাত্রলীগের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অপরাধীদের নামধারী কর্মী বলে দায় এড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশ্য বছরের পর বছর পার হলেও কমিটি গঠনের ব্যর্থতা ঘাড়ে নিয়েছেন তারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, অপরাধীদের আমরা কখনই প্রশয় দেই না। অপরাধী সে যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতে হবে। সিলেটের এমসি কলেজে কোনো কমিটি নেই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো নেতা না।

২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি।

গণধর্ষণ যারা ঘটিয়েছে তারা ছাড় পাবে না :ছাত্রলীগ

আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেটের এমসি কলেজে বরাবরই লাগামহীন ছাত্রলীগ। ৯ বছর ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে মরিয়া দুটি গ্রুপ। ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও খুনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অপরাধে জড়িত সংগঠনের কেউই ছাড় পাবে না।

২০১২ সালের আগস্টে, ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে, পুড়িয়ে দেয়া হয় সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়, দুঃখ ও আক্ষেপ উঠে আসে খোদ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর চোখেমুখে।

দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে বাতিল হয় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। মামলায় আসামি করা হয় ২৯ জনকে। এরপর নতুন ভবনে পথচলা শুরু হয় ছাত্রাবাসটির। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি বিচার।

এরপর নানা সময় উত্তপ্ত থেকেছে সিলেটের প্রাচীন এই কলেজ ক্যাম্পাস। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের গ্রুপিংয়ে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম করে সব সময় আলোচনায়। অপরাধের সবশেষ তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ।

সমালোচনার মুখে থাকা সিলেট ছাত্রলীগের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অপরাধীদের নামধারী কর্মী বলে দায় এড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশ্য বছরের পর বছর পার হলেও কমিটি গঠনের ব্যর্থতা ঘাড়ে নিয়েছেন তারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, অপরাধীদের আমরা কখনই প্রশয় দেই না। অপরাধী সে যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতে হবে। সিলেটের এমসি কলেজে কোনো কমিটি নেই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো নেতা না।

২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি।