ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতন: বাদলসহ দুইজনের স্বীকারোক্তি

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৯৩ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় রিমান্ড শেষে প্রধান আসামি বাদল ও ৫ নম্বর আসামি সাজু আদাালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলার ৯ নম্বর আসামি রহমত উল্লাহকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় তাকে জেলাা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হকের খাসকামরায় প্রধান আসামি বাদল ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ’র খাসকামরায় ৫ নম্বর আসামি সাজু ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গরু ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

এরআগে, রোববার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীর ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একলাশপুর ইউপির জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ঘর থেকে জামা-কাপড়, বালিশ, বিছনার চাদরসহ মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। এ সময় বাড়ির পাশের খালে এবং পুকুরে আরো কিছু আদালত উদ্ধারের জন্য জাল ফেলে ও ডুবুরি নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করা হয়।

পরে স্থানীয় লোকজনকে সাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুতের পর জেলা পিবিআই কার্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারি উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি বাদল, আবদুর রহিম মামলার ২ নম্বর আসামি। অপর ৪ আসামি সাজু, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, সাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদেরকে যুক্ত করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও গত রোববার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ছয়জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে পাঁচজনকে।

গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতন: বাদলসহ দুইজনের স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় রিমান্ড শেষে প্রধান আসামি বাদল ও ৫ নম্বর আসামি সাজু আদাালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলার ৯ নম্বর আসামি রহমত উল্লাহকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় তাকে জেলাা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হকের খাসকামরায় প্রধান আসামি বাদল ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ’র খাসকামরায় ৫ নম্বর আসামি সাজু ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গরু ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

এরআগে, রোববার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীর ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একলাশপুর ইউপির জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ঘর থেকে জামা-কাপড়, বালিশ, বিছনার চাদরসহ মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। এ সময় বাড়ির পাশের খালে এবং পুকুরে আরো কিছু আদালত উদ্ধারের জন্য জাল ফেলে ও ডুবুরি নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করা হয়।

পরে স্থানীয় লোকজনকে সাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুতের পর জেলা পিবিআই কার্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারি উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি বাদল, আবদুর রহিম মামলার ২ নম্বর আসামি। অপর ৪ আসামি সাজু, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, সাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদেরকে যুক্ত করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও গত রোববার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ছয়জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে পাঁচজনকে।