ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় ফুটফুটে শিশু মৃত্যু

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
  • / ১২০৩ বার পড়া হয়েছে

ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় ফুটফুটে শিশু মৃত্যু। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ডিউটি ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে শিশুর আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী।রাতেই দায়িত্বরত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

স্থানীয়, হাসপাতাল ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাড়ে তিন মাসের মেয়ে রাইসার নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলায় শিকার হন শিশুটি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে শিশুটির বাবা বার বার নার্স ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও তারা কেউ সাড়া দেননি।এতে করে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়। এক পর্যায়ে রাত আটটায় হাসপাতালেই শিশুটি মারা যায়।শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে বিক্ষোভ করতে থাকে। জনসাধারণকে শান্ত করতে জুড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়।

আজমিরীগঞ্জে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত, গাড়ি ভাঙচুর

শিশুটির বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমার মেয়ে অসুস্থ হলে প্রথমে ডাক্তার অনিক স্যার কে দেখাই। উনার পরামর্শে আমি আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তির পর থেকে আমি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের কাছ থেকে কোন চিকিৎসা পাই নি। সারাদিনে একজন ডাক্তার ও আমার মেয়েকে দেখতে আসেননি।সন্ধ্যার পর আমার মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেও কোন তাড়া পাওয়া যায়নি।

এতে করে আমার মেয়ের অবস্থা আরোও খারাপের দিকে যায়। এক পর্যায়ে রাত আটটায় হাসপাতালেই আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে নার্স দীপা রেবা বলেন, শিশুটির অভিভাবক আমাকে যতবার ডেকেছে আমি ততোবারই শিশুটিকে দেখেছি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে আমি বারবার অনিক স্যার কে মোবাইলে ফোন দেই তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি। অনেকক্ষণ পর তিনি নিজেই আমাকে ফোন দেন এবং হাসপাতালে আসেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তার প্রিয়জ্যোতিঘোষ অনিক বলেন, আমি নিয়মিত রোগীকে দেখাশোনা করেছি। রোগীর অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে সাথে সাথে রোগীকে দেখতে যাই এবং তার পরিবারকে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ। কিন্তু আর কিছুসময়ের মধ্যেই শিশু রোগীর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি হাসপাতালে উপস্থিত হই। এলাকাবাসী এবং শিশুটির আত্মীয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বরত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক সরিয়ে নেই এবং ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেই।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালে হাজির হই। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ট্যাগস :

ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় ফুটফুটে শিশু মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৩১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় ফুটফুটে শিশু মৃত্যু। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ডিউটি ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে শিশুর আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী।রাতেই দায়িত্বরত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

স্থানীয়, হাসপাতাল ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাড়ে তিন মাসের মেয়ে রাইসার নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলায় শিকার হন শিশুটি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে শিশুটির বাবা বার বার নার্স ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও তারা কেউ সাড়া দেননি।এতে করে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়। এক পর্যায়ে রাত আটটায় হাসপাতালেই শিশুটি মারা যায়।শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে বিক্ষোভ করতে থাকে। জনসাধারণকে শান্ত করতে জুড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়।

আজমিরীগঞ্জে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত, গাড়ি ভাঙচুর

শিশুটির বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমার মেয়ে অসুস্থ হলে প্রথমে ডাক্তার অনিক স্যার কে দেখাই। উনার পরামর্শে আমি আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তির পর থেকে আমি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের কাছ থেকে কোন চিকিৎসা পাই নি। সারাদিনে একজন ডাক্তার ও আমার মেয়েকে দেখতে আসেননি।সন্ধ্যার পর আমার মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেও কোন তাড়া পাওয়া যায়নি।

এতে করে আমার মেয়ের অবস্থা আরোও খারাপের দিকে যায়। এক পর্যায়ে রাত আটটায় হাসপাতালেই আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে নার্স দীপা রেবা বলেন, শিশুটির অভিভাবক আমাকে যতবার ডেকেছে আমি ততোবারই শিশুটিকে দেখেছি। সন্ধ্যার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে আমি বারবার অনিক স্যার কে মোবাইলে ফোন দেই তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি। অনেকক্ষণ পর তিনি নিজেই আমাকে ফোন দেন এবং হাসপাতালে আসেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তার প্রিয়জ্যোতিঘোষ অনিক বলেন, আমি নিয়মিত রোগীকে দেখাশোনা করেছি। রোগীর অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে সাথে সাথে রোগীকে দেখতে যাই এবং তার পরিবারকে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ। কিন্তু আর কিছুসময়ের মধ্যেই শিশু রোগীর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি হাসপাতালে উপস্থিত হই। এলাকাবাসী এবং শিশুটির আত্মীয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বরত নার্সকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক সরিয়ে নেই এবং ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেই।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালে হাজির হই। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।