বিএনপি-জামায়াতের হরতালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতি ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদসহ সমমাননা দল গুলোর ডাকে আজ রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালে এখন পর্যন্ত রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ডেমরায় অছিম পরিবহনের একটি বাসে দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে এক চালকের সহকারী।
এছাড়া আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বায়তুল মোরাকররমের দক্ষিণ গেটে, মোহাম্মদপুরের টাউন হল, বংশালের তাঁতিবাজারে ৩টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এবং কে বা কারা বাসে আগুন দিয়েছে তাও জানা যায়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলশের তেজগাঁও জোনের ডিসি আজিমুল হক বলেন, পরিস্থান বাসে কিছু যুবক যাত্রী বেশে ওঠেন। মোহাম্মদপুর টাউনহলের সামনে তাঁরা বাস থেকে নামার সময় বাসে আগুন দেয়। স্থানীয়রা ধাওয়া দিলেও কাউকে ধরতে পারেনি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে ডেমরা পশ্চিম দেইল্লা পাকা রাস্তার ওপর রাখার অছিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এতে বাসে ঘুমিয়ে থাকা মোঃ নাঈম (২২) নামের এক চালকের সহকারী মারা যান। আহত হয় রবিউল ইসলাম (২৫) নামে আরও একজন।
ডেমরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর দগ্ধ রবিউলকে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নাঈমের বাবার নাম আলম চৌকিদার ও মা পারভীন বেগম। তার বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানায়। বর্তমানে ডেমরা হাজিনগর এলাকায় থাকতেন।
আর দগ্ধ রবিউলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে। সেও ডেমরায় থাকেন। তার বাবার নাম হযরত আলী। বার্ন ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, রবিউলের শরীরে ১৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবারের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগে আজ রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপিসহ সমমাননা কয়েকটি দল।