নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলা দুটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে মামলা দুটি বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মোস্তাক আহমেদ তদন্ত করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাসপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে পেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নির্যাতনের ঘটনার ৩৩ দিন পর ১৯ জনকে আসামি করে ৪ অক্টোবর রাত ১টার দিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ৮ আসামি রিমান্ডে রয়েছে।
বিএম কলেজে হামলা-ভাঙচুর মামলায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার আসামি আব্দুর রহিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ মেম্বারের রিমান্ড শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলা দুটি তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে তারা মামলাটি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের অফিসাররা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। যেহেতু বেশ কয়েকজন আসামি রিমান্ডে রয়েছেন, তাই আরও কিছু কাগজপত্র তারা বুঝে নিচ্ছেন বলেও জানান মিজানুর রহমান।