DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুরাদনগরে সাঁকোই ভরসা ঝুকি নিয়ে পারাপার

Online Incharge
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুরাদনগরে ৫২ বছর ধরে দুই লক্ষ লোকের সাঁকোই ভরসা ঝুকি নিয়ে পারাপার বিশ গ্রামের প্রায় দুই লক্ষ মানুষ নিজেদের চাঁদায় বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করে সাঁকো পারাপার হচ্ছে।

 

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখলা ও দৌলতপুর সড়কের পাশের আর্সি নদীর ওপর নির্মিত ওই সাঁকোটি দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে বায়ান্ন বছর যাবত চলাচল করছে সব শ্রেণী পেশার মানুষ। কারণ বাঁশ দিয়ে তৈরী প্রায় দুইশত ফুট লম্বা সাঁকুই তাদের একমাত্র ভরসা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় পানিতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

দৌলতপুর গ্রামের কৃষক আরব আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটে পাস করার পর প্রতিশ্রুতির কথা তাঁদের আর মনে থাকে না। দেশ স্বাধীনের পরের বছর বাঁশের পোল (সাঁকো) দেয় গ্রামবাসি। কত জনপ্রতিনিধি আসলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার হয় বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কালারাইয়া, মোহাম্মদপুর, ঘোড়াশাল, সোনাকান্দা, জোগেরখিল, মেটংঘর, দৌলতপুর গ্রামের মানুষ।

এছাড়া রোয়াচালা, কুড়–ন্ডী,পিপিড়িয়া কান্দা, চুলুড়িয়া, বড়িয়াচুড়া, কুড়াখাল, কালীসিমা, পেন্নই, দিঘিরপাড়, পাজিরপাড়, কাউইন্নামুড়ি, বৃষ্ণপুর, শ্রীকাইল, চন্দনাইল, রামচন্দ্রপুর, বি-চাপিতলাসহ উপজেলার উত্তর এলাকার লোকজনের বাঙ্গরা বাজার থানা সদরের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগ করতে হলে প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়ক ঘুরে আসতে হয়। আর্সি নদীটি কালারাইয়া ও ধনপতিখোলা গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় দুই পাশের ২০টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে এবং বাঙ্গরা বাজার থানা সদরে আসতে হচ্ছে।

খোষঘর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মহসিন ভূইয়া বলেন, ব্রীজের জন্য আমাদের কয়েকটি গ্রামের মানুষদের দুভোর্গের শেষ নাই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভয়ে ভয়ে পার হতে হয় সঁাকো। প্রায় সময় অনেক শিক্ষাথর্ীরা পারাপারের সময় সাঁকো থেকে পড়ে আহত হচ্ছে। এতে করে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে যায় না।
উপজেলার ধনপতিখোলা গ্রামের সত্তোর্ধ কৃষক মো. বাতেন মিয়া বলেন, যুদ্ধের আগে এই নদীর পার হতাম নৌকা দিয়ে। ‘গত প্রায় ৫/৬ মাস আগে বাজারে যাওয়ার জন্য ওই সাঁকো পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যাথা পেয়েছি। এরপর থেকেই এই সাঁকো পার হতে আমার খুবই ভয় হয়।

আরো পড়ুন :  খাগড়াছড়িতে তাঁতবস্ত্র ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন

শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও মোঃ রুবেল মিয়া বলেন, নড়বড়ে ওই সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে যায়।

ধনপতিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তৌহিদ মিয়া বলেন, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করছে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ২০টি গ্রামের প্রায় তিন লক্ষ লোকের ভোগান্তির অবসান হতো।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার খান বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আর্সি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের। আমি অনেক বার এমপি-মন্ত্রীর কাছে গিয়েও বরাদ্দ পাইনি। সেতুটি নির্মিত হলে মুরাদনগর উপজেলা উত্তর এলাকার ২০ গ্রামের লোকদের দূর্ভোগ কমবে। আরও উন্নত হবে তাদের জীবনমান।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে আমি এই উপজেলায় আসছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।

মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল হক সরকার কিশোর বলেন, ‘আর্সি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৫৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৬
  • ১১:৫৩
  • ৪:১১
  • ৫:৫৬
  • ৭:০৯
  • ৫:৪৭