DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ৫ই মে ২০২৪
ঢাকারবিবার ৫ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

অগ্নিঝরা মার্চ

DoinikAstha
মার্চ ১, ২০২১ ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্কঃ

পাহাড়ের দৃঢ়তার চেয়ে দৃঢ় যাদের মনোবল সে জাতি কখনও পরাধীন থাকতে পারে না। বাঙ্গালি জাতি এমনই এক বীরের জাতি। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। মার্চ মাস আমাদের গৌরবের মাস। অহংকারের মাস। স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস।

একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ রেডিওতে প্রচার না করায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার মানুষ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে বেতারকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় রেডিওর সম্প্রচার। ফলে ৮ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রেডিওতে প্রচারে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি জাতি নতুন করে স্বাধীনতায় উদীপ্ত হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে শুরু হয় স্বাধীনতার প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সচিবালয়সহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস- আদালত বন্ধ হয়ে যায়।
শুধুমাত্র ব্যাংকগুলো প্রতিদিন দুই ঘণ্টা খোলা থাকে স্বাভাবিক লেনদেনের জন্য। এক কথায় গোটা পূর্ব বাংলা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হয়।

শুরু হয় অদম্য সাহস আর আত্মপ্রত্যয়ের স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ মাসেই দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন স্বাধীনতাকামী জনতা। এই মাসেই সাধারণ বাঙালি হয়ে উঠে অসাধারণ যোদ্ধায়।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, মার্চে এসে সেই আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বার্তা। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে ২৫ মার্চ রাত ১টার দিকে পাকিস্তানি সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে নামে। ঢাকার রাস্তায় সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।

আরো পড়ুন :  পিরোজপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

এরপরের ঘটনাপ্রবাহ প্রতিরোধের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবনিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪