অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়লেও নতুন করে লকডাউন দেয়ার চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয় নাই। তবে আগের যে স্বাস্থ্যবিধি ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা, সেগুলো প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- রেস্তোরাঁ, পরিবহনে ভিড় এড়ানো, সবাইকে মাস্ক পরানো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় যেন লোকজন ভিড় না করে।
গতবছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মার্চের শেষ দিকে শুরু হয় ‘লকডাউনের’ বিধিনিষেধ। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কল-কারাখানা, বিপণি বিতান ও উপাসনালয় বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়ায় দেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে।
টানা ৬৬ দিনের লকডাউন ওঠার পর ৩১ মে থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। ধীরে ধীরে শুরু হয় ফ্লাইট চলাচল। অগাস্টে বিনোদন কেন্দ্রও খুলে দেয়া শুরু হয়।
ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার ভাবনা থেকে মাঝে পুরো দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালানোও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি।
ডিসেম্বরের পর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকলেও চলতি মার্চের শুরু থেকে তা আবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার ১৭ শর ঘরে উঠেছে, যা এক মাস আগেও তিনশর ঘরে ছিল। গত দুই দিনেই ২৬ জন করে মারা গেছেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহাপরিচালক।