গাজীপুর সিটিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে সিসি ক্যামেরা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু। ভোটের আগের দিন আজ বুধবার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ভাঙার খবর এসেছে নির্বাচন কমিশনে। নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২০২ নম্বর কেন্দ্র জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ তিনটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ভাঙার বিষয়টি নজরে এসেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ ইসির উপপরিচালক (কমিউনিকেশনস) শাহরিয়ার আলম বলেন, তাঁদের কাছে ভাঙা সিসি ক্যামেরার ছবি এসেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছেও সিসি ক্যামেরা ভাঙার বিষয়টি এসেছে বলে জানা গেছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪শ ৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪শ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। এখানে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ৪৭ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ৯৮, আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন।
নির্বাচন পরিস্থিতি দেখতে গাজীপুরে বসানো হয়েছে মোট ৪ হাজার ৪শ ৩৫টি সিসি ক্যামেরা। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বড় পর্দায় ভোটের পরিস্থিতি দেখবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকেরা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, সিসি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পেলে গাইবান্ধা নির্বাচনের চেয়েও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবারের নির্বাচনে ৪শ ৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ী থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৯৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পুবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১শ ১১টি ও টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ৩শ ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১শ ২৯টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সূত্রমতে, নানা দিক বিবেচনায় তারা কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বলতে এখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।