DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদারিত্ব আগ্রহী ভারত

News Editor
অক্টোবর ৩০, ২০২০ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশীদারিত্ব জোরদারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী ভারত। এ লক্ষ্যে অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্স (এপিআই) শিল্প খাতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের শিল্পায়নের চলমান ধারাকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব খাতের উন্নয়নে ভারত প্রতিযোগী নয়, পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ফলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা হয়। এ সময় দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার, ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ানো, স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সহজ সমাধান, পণ্যের মান সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিদেশি পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কিছু অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির মান সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। এ সনদ নিয়ে বাংলাদেশের ফুড ও ননফুড আইটেম সহজেই ভারতের বাজারে রফতানি করা যেতে পারে। তিনি এ লক্ষ্যে বিএসটিআইর সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্ট মান প্রতিষ্ঠানগুলোর লিংকেজ শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষণের জন্য মোবাইল টেস্টিং ল্যাবরেটরি সেবা চালুতে ভারত সহায়তা করবে বলে জানান।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটা রক্তের সম্পর্কের মতো। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের বিশাল ত্যাগ ও সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। পারস্পরিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে দু’দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে। বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য পরিধি বাড়াতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বাণিজ্যের পরিধি বাড়লে রফতানি সম্পর্কিত বিদ্যমান সমস্যাগুলো সহজেই সমাধান হবে। বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতগুলোর বিকাশে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও এপিআই শিল্প খাতের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে ভারতীয় হাইকমিশনারের আগ্রহকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। এ লক্ষ্যে তিনি উভয় দেশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংলাপ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪