রোনালদোর সময়টা ভালো যাচ্ছে না । ক’দিন আগেই করোনামুক্ত হয়ে ফিরলেন। এবার পড়েছেন ইনজুরিতে। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সময়টা ভালো যাচ্ছে না নিশ্চিতভাবেই।
গেল মাসের ১৩ তারিখ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সময় করোনা আক্রান্ত হন রন। এরপর এ নিয়ে বেশ নাটকও হয়। মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন তিনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলার জন্য কয়েক দফায় করান করোনা টেস্ট। কিন্তু শেষপর্যন্ত দর্শক হয়েই থাকতে হয় তাকে।
এরপর জোড়া গোল করে ফুটবলে নিজের ফেরাটা উদযাপন করেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা। তবে আন্তর্জাতিক মাঠে ফেরার আগে আরো একবার ইনজুরিতে পড়লেন রোনালদো!
রোববার লাৎসিও’র বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে লিডটাও এনে দেন এই পর্তুগিজ তারকা। ১৫ মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় তার দল।
আরো পড়ুন: সাকিব ফিটনেস টেস্টে অংশ নেবেন
তবে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ইনজুরিতে পড়েন সিআরসেভেন। ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচ শেষে য়্যুভেন্তাস কোচ আন্দ্রে পিরলো নিশ্চিত করেছেন, গোড়ালিতে আঘাত পেয়েছেন রোনালদো। যদিও এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি কোচ।
চলতি সপ্তাহেই পর্তুগালের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা তার। অ্যান্ডোরা, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে পর্তুগিজরা। তার আগে দলের সেরা তারকার ইনজুরি নিশ্চিতভাবেই ভোগাবে পুরো দলকে।
ফুটবলার রোনালদোর নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। ৩৫ বছর বয়সেও মাঠে সর্বস্ব ঢেলে দিতে কঠোর পরিশ্রম করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। মাঠের অনুশীলনে আসেন সবার আগে, যান সবার শেষে। তবে সতীর্থ হিসেবে রোনালদোকে ‘অহংকারী’ বলে তোপ দেগেছেন পাস্কুয়েলা ব্রুনো।
সাবেক জুভেন্টাস তারকা ব্রুনোর দাবি, ড্রেসিংরুমে ক্লাবের অন্য সতীর্থদের থেকে দূরত্ব মেনে চলেন সিআর সেভেন।
করোনাভাইরাস জয় করে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন রোনালদো। ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট। তিনি গোল না পেলেও প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে ফিরেছে জুভেন্টাস।
ম্যাচের পরেই পর্তুগিজ মহাতারকার দলীয় নিবেদন নিয়ে রীতিমত কঠোর সমালোচনা করেছেন ১৯৮৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত জুভেন্টাসে খেলে যাওয়া ব্রুনো। দলের অন্যদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকার, ইতালিয়ান মিডিয়াসেট টেলিভিশনের টিকি-টাকা শোতে এমন দাবি করেছেন তিনি।
‘রোনালদো অহংকারী। সে দুই বছর হল ইতালিতে আছে। অথচ এখন পর্যন্ত ইতালিয়ান ভাষাটাই শেখেনি। সে এখনো স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে। সতীর্থ কিংবা সাধারণ ইতালিয়ানদের প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধাই নেই।’