আজ মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর অক্টোবরের দশ তারিখে এই দিবস পালন করা হয়। সব মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতার দিন হলো আজ। এর মূল লক্ষ্য হলো, মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতন এবং শিক্ষিত করা। এবছরের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-এর থিম হল ‘Mental Health for All : Greater Investment – Greater Access’। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রথমবারের মতো পালিত হয় ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকটাই প্রভাব রাখে আমাদের খাবার। কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসা করতে পারে। ক্লিনিকাল সহায়তা ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এই প্রাকৃতিক উপায় মেনেও মুক্তি পেতে পারেন। সেরকমই কিছু খাবারের কথা প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই-
চিয়া সীড
স্বাস্থ্য সচেতনদের খাবারের তালিকায় থাকে এই চিয়া সিড। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ডিপ্রেশন এবং ADHD থেকে স্বস্তি দিতে সহায়তা করে। তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চিয়া সিড খেতে পারেন।
ডিম
ডিম উপকারী খাবার এ বিষয়ে সবারই কম-বেশি জানা। ডিমে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি থাকে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন এবং কোলিন মস্তিষ্কের কোষ ও স্নায়ুর বিকাশের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন পাতে রাখুন ডিম।
দই
দই খেতে ভালোবাসেন? আপনার জন্য সুখবর। দই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দই আমাদের পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য পরিচিত। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, দই খেলে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কম হয়। এটি সরাসরি ব্যক্তির মুড-কে প্রভাবিত করে।
ব্রকলি
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবুজ এই সবজি রাখুন পাতে। এতে এমন কয়েকটি যৌগ রয়েছে, যা মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যকর রাখতে পারে। এতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।
বাদাম
প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে একসঙ্গে অনেক বাদাম খেয়ে ফেলবেন না। পরিমিত খান। বাদামে উচ্চ পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং তামা রয়েছে। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং মানসিক অসুস্থতা উপশম করতে সহায়তা করে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চাকোলেট নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকারে লাগে। ডার্ক চকোলেটে কোকো থাকার কারণে, এটি ব্লাড সার্কুলেশন উন্নত করতে পরিচিত। এর ফলে স্মৃতি শক্তির বৃদ্ধি হয়। ফ্ল্যাভোনয়েডস মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।