জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চরাঞ্চলে নানান চাষাবাদে ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে অর্থনীতি। চরান্ঞ্চলে চাষাবাদ করা হচ্ছে, পাট, কাউন ও বাদামসহ নানা জাতের শাক সবজি।
চরান্ঞ্চলে অনেকের রয়েছে গবাদি পশুর খামার ও মুরগীর র্ফামসহ বিভিন্ন জাতের ফসলি চাষাবাদ করে পাল্টে যাচ্ছে চরাঞ্চলের অর্থনীতি। ভাঙ্গন কবলিত দুধকুমর নদীর চরগুলো ক্রমশ আবাদি জমিতে পরিনিত হয়েছে। এ সব জমিতে আবাদ হচ্ছে নানা অর্থকারী ফসল।
চরাঞ্চলে শুধু বসতি নয় দুধকুমর নদী এলাকা এখন ব্যবসায়ী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। বিশেষ করে চরলুচনি, নুনখাওয়ার চর, নারায়নপুরের চর, ঝাউকুটির চর, ইতি মধ্যে বাঁধা কপি টমেটো ও মরিচের জন্য বিক্ষাত হয়েছে। ভাল দামেই বেচা কেনা শুরু হয়েছে শাক সবজি ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চরাঞ্চলে ধানসহ নানা চাষাবাদ হচ্ছে, এখন দুধকুমর নদীর বুকে এখন লাউ, সিম, আলু কুমরার আবাদ শুরু হয়েছে। চর বেরুবাড়ী, বল্লভের খাস, চর রহমানের কুটি, ফান্দের চরের কৃষকরা জানান ইরি বোর ধানসহ সোয়াবিন তেল, শরিষার দারুন আবাদ জমে উঠেছে, এবারে বন্যার ক্ষতি পুশিয়ে নিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষকরা বলেন পলি পরে ফসল চাষের উপযোগী হচ্ছে এ সব জমি । নতুন উদ্যোমে চাষ শুরু করেছেন তারা। অধিকাংশ জমিতে চাষ হচ্ছে নানা ফসল। চরের প্রায় বাড়ীতে জমে উঠেছে গবাধি পশু খামার, খামারীরা জানান, এসব চর থেকে ঈদে প্রচুর গড়ু বিক্রী হয়, চরে বেশি খরচ হয়না তাই বেশি লাভবান হচ্ছেন চরের লোকজন।
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বিশেষ করে দুধকুমর, ফুলকুমর, ব্রক্ষপুত্র, গংগাধর নদীর চরাঞ্চলগুলোর কৃষক শ্রমীক দিনমজুররা জানান, ধুধু বালুচর এখন সবুজে ভরা শাক সবজিসহ নানান ফসলি আবাদ। কিছুটা শস্তি পেয়েছে তারা।
তবে অনেক কৃষকে জানান যদি এসব জাগায় চাষাবাদে যদি সরকারী বা বে-সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পেত তাহলে আরো লাভবান হতো তারা।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।