জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রেমিকের টানে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে রোজিনা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৮টার দিকে গাংনী থানার এসআই আলী রেজা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাংনী থানার এসআই হাবীবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, স্বামী সাইফুল ইসলামকে পারিবারিক কলহের জেরে গত সোমবার রাতে তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন ও তার শ্বশুর আতাহার আলী ও শাশুড়ি মিলে বাড়ির উঠানে নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করেন। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এর আগে সাইফুল তার স্ত্রীকে মারধর করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন আগে সাইফুল তার বাবার বাড়িতে যান। এ সুযোগে রোজিনা তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে পাঁচ দিন নিখোঁজ ছিলেন।
সাইফুল শ্বশুর বাড়িতে এসে রোজিনাকে না পেয়ে বোনের বাড়িতে খোঁজ নেন। পরে রোজিনা হঠাৎ ফিরে এলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রোজিনা ও তার বাবা আতাহার এবং মাসহ তিন জনে মিলে সাইফুলকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তার হাত ও পা বেঁধে উঠানের নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে সাইফুলকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তারা।
রোজিনার চাচী জানান, রোজিনা শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোজিনা তার বাবার বাড়ি উপজেলার দেবিপুর চলে আসেন। তাদের সংসারে দু’জন সন্তান আছে। তাদের কথা চিন্তা করে সাইফুলও গত ৬ মাস আগে শ্বশুর বাড়ি দেবিপুরে চলে আসেন।
এই বিষয়ে গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে আটক করে রোজিনাকে থানায় নেয়া হয়েছে। নিহত সাইফুলের পরিবারের লোকজন মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে।