আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানে কর্মরত জ্যেষ্ঠ একজন মার্কিন কর্মকর্তা তার দেশের কংগ্রেসকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আফগান সরকার এবং তালেবানের সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তিচুক্তি ছাড়াই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসতে পারে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগানিস্তানে কর্মরত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশেষ পরিদর্শক জন সোপকো গত মঙ্গলবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিটিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা ছাড়া আফগান সরকার পতনের মুখোমুখি হতে পারে।
তিনি আরো বলেছেন, আফগানিস্তান সরকার সম্ভবত কয়েক মাসের মধ্যে যে কোনো বিমান উড়ানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবে এবং ভোঁতা হয়ে পড়ে সম্ভবত ধসে পড়বে।
তালেবান এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের মধ্যে আরেক দফা শান্তি আলোচনার প্রস্তুতির কয়েক দিন আগে তিনি এ ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেন। এছাড়া এ বছরের ১ মে সে দেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার সর্বশেষ সময়ের আগে তিনি এ মন্তব্য করলেন।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ ১৮ মার্চ মস্কোর সম্মেলনে যোগ দেবেন। অন্যদিকে তালেবান বলছে, প্রধান আপসকারী মোল্লা বারাদার আখুন্দের নেতৃত্বে ১০ জনের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালেবান এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চুক্তি হয়। এ বছরের মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে বিদেশি সকল সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা হয়েছিল সে সময়।
এদিকে আফগানিস্তানে এখনো তিন হাজার পাঁচশ মার্কিন সেনা এবং ন্যাটোর ১০ হাজার সেনা রয়েছে।
জন সোপকো বলেন, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পুলিশের ওপর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে তালেবান। সে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এবং চলমান আলোচনায় ফায়দা নেওয়ার জন্য তারা এটি করছে।
এদিকে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য ২০০২ সাল থেকে ১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে অফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহায়তা দিতে।