ওজন কমানো নিয়ে একদলের যেমন চিন্তার শেষ নেই, অন্যদিকে কিছু মানুষ আছেন যারা ওজন বাড়ানো নিয়ে চিন্তিত। তারা যদিও প্রচুর খায়, তারপরও কিছুতেই কিছু হয় না। যে রোগা সে রোগাই থেকে যায়।
অনেকেই ক্যালোরি ও ভোজ্য আঁশ দুটোই বেশি থাকার কারণে ওজন বাড়ানোর জন্য কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অপরদিকে ওজন কমানোর চেষ্টায় যারা আছেন তাদেরকেও ব্যায়ামের পর আদর্শ খাবার হিসেবে এই ফল খেতে বলা হয়।
এই দুই ধরনের মতবাদের যে দ্বন্দ্ব, সেটা খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দূর করার চেষ্টা করা হলো।
কলার পুষ্টিমান
কলা ওজন বাড়ায় বলে মনে করা হলেও আসলে তা সঠিক নয়। দামে সস্তা আর পুষ্টিগুণে ভরা এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য আঁশ, পটাশিয়াম। অপরদিকে চর্বির মান খুবই কম। যে কারণে ব্যায়ামের পর শরীরের কার্বোহাইড্রেইটের ক্ষুধা মেটাতে কলা অত্যন্ত কার্যকর।
তবে কলার ওজন বাড়ানোর তথ্যটির পেছনে সম্ভবত এর উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেইট, ক্যালোরি ও নিম্ন মাত্রার প্রোটিন দায়ী। মাঝারি আকারের একটি কলায় থাকে ১০৫ ক্যালোরি আর ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট।
কলায় আরও আছে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’। তাই এই ফলটি ওজন বাড়াবে এই তথ্যে বিশ্বাস করে খাদ্যাভ্যাস থেকে এটি বাদ দিলে হারাবেন বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান।
ওজন বাড়াতে কলার ভূমিকা
যেকোনো একটি খাবার ওজন কমানো কিংবা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে না। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চা দুটোই সমানতালে জরুরি, তা ওজন কমানো এবং বাড়ানো দুই ক্ষেত্রেই।
তবে যাদের ওজন স্বাস্থ্যকর মাত্রার নিচে তারা খাদ্যাভ্যাসে কলা যোগ করলে ওজন বাড়াতে তা অবশ্যই সহায়ক হবে। তবে কলার উচ্চ ক্যালোরি তখনই ওজন বাড়াতে কাজে আসবে যখন তা সঠিক নিয়মে খাওয়া হবে।
‘বানানা শেইক’ যেভাবে তৈরি করবেন
ওজন গ্রহণের জন্য এক গ্লাস ননীযুক্ত দুধ আর দুটি কলা একসঙ্গে ‘ব্লেন্ড’ করে নিতে হবে। এবার তা গ্লাসে ঢেলে যোগ করতে হবে মধু ও বাদাম।
গরুর দুধের পরিবর্তে ‘আমন্ড মিল্ক’ বা কাঠবাদামের দুধ ব্যবহার করতে পারেন, তাতে ক্যালোরির মাত্রা আরও বেশি। আর পেশি বাড়াতেও ‘আমন্ড মিল্ক’ অপেক্ষাকৃত বেশি উপকারী।
ওজন বাড়াতে ‘বানানা শেইক’ যখন পান করবেন
‘বানানা শেইক’ ব্যায়ামের পর পরিমাণ মতো পান করলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি দ্রুত পেশি গঠন করাও সম্ভব।