রমেক হাসপাতালের হিসাবরক্ষককে অপসারণে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
রিয়াজুল হক সাগর/রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) হিসাবরক্ষক পদে যোগদান করেছেন স্বাস্থ্যখাতের সমালোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মহি মিঠু’র ভাতিজি উম্মে সুলতানা নওশীন। তার ফিরে আসায় বিক্ষুদ্ধ হয়েছে উঠেছেন কর্মচারি ও স্থানীয় সচেতন মহল। এর আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ২০২০ সালে দুর্নীতি ও বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক উম্মে সুলতানা নওশীনকে লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়।
২৪মে (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাসপাতালটির সর্বস্থরের কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা। এ সময় কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিলে এলাকাবাসীর ব্যানারে যোগ দেন আরও অনেকে। বিক্ষোভকারিরা নওশীনকে অপসারণে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেধে দিয়েছেন।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি মেডিকেল কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করলে পুলিশ গেট বন্ধ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা কলেজ গেটের সামনেই বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নওশীনের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
জানা গেছে, সে সময় রংপুর মেডিকেলের যে কোনো নিয়োগ ও কেনাকাটা ঠিকাদার মিঠু ও তার ভাতিজি নওশীনের সিন্ডিকেটের ইচ্ছায় পরিচালিত হতো। মিঠু ও নওশীনের সিন্ডিকেট সরকারের শীর্ষ মহলে আলোচনায় এলে দেশ ছাড়েন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। ভাতিজি উম্মে সুলতানা নওশীন সমালোচিত হলে তাকে লালমনিরহাটে বদলি করা হলেও তিনি বদলির ৪ মাস পরে লালমনিরহাটে যোগদান করেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের আলোচিত দুর্নীতিবাজ হিসেবে ইতোমধ্যে উনাকে রংপুর থেকে বদলি করা হয়েছে। উনি আবারও রংপুর মেডিকেল কলেজে এসেছেন। এ কারণে কর্মচারী ও সচেতন এলাকাবাসী তার অপসারণের দাবি জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়। সেই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার রায় জানান, আন্দোলনকারীরা আমার কাছে এসেছিলেন। ওনারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থার নেওয়ার লক্ষ্যে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে থাকলেও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই গণমাধ্যমে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে এড়িয়ে যান।