ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেলেন সেনাপ্রধান Logo আইফোন ১৭ সিরিজের ডিজাইনার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবিদুর চৌধুরী Logo ওএসডির ছয় মাস পর পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ডা. সাইফুল ইসলাম! Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়ক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী Logo পানছড়িতে হেফাজত ইসলামের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় ১২ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক Logo ফুলবাড়িয়ায় ৪৩ জনকে চোখের চিকিৎসা করালেন বিএনপি নেতা  Logo পদত্যাগের পর নেপালেই আছেন কেপি শর্মা ওলি Logo কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত! Logo ভারত ও চীনের ওপর শত ভাগ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপকে ট্রাম্পের আহ্বান

৭০ হাত মাটির নিচ থেকে জাহাজ উদ্ধার

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের তেঁতুলিয়া নদীতে ৩৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া একটি জাপানি জাহাজ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাদার একাধিকবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত খুলনার আনসার উদ্দিন মিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অগ্রণী ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট’ সফলতা পেয়েছেন।

এক যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে মাটির ৭০ হাত তলদেশ থেকে ডুবে যাওয়া জাপানি পণ্যবাহী এ জাহাজটি উদ্ধার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যুতিক মালামাল নিয়ে এমভি মোস্তাবি নামে জাপানি জাহাজটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।

পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মিঠুয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে যায় জাহাজটি। এসময় বিআইডবব্লিটিএর পক্ষ থেকে জাহাজটি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, জাহাজ ডুবির স্থানটি প্রায় দু’যুগ আগে চর আকারে জেগে ওঠে এবং পরবর্তীতে এটি মিঠুয়া গ্রাম নামে পরিচিতি পায়। সেখানে ধীরে ধীরে ফসল আবাদ করাসহ বসতি গড়ে তোলা হয়। মিঠুয়া গ্রামের মাটির নিচের এই জাহাজটি শনাক্ত করাসহ তা উত্তোলনে একাধিক ঠিকদার ব্যর্থ হওয়ার পরে ২০১৩ সনে ফের দরপত্র আহ্বান করে সংস্থাটি। এতে অংশগ্রহণ করে খুলনার আনসার উদ্দিন মিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অগ্রণী ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট’। এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকায় বিদেশি এই জাহাজটি উত্তোলনে কাজ করার অনুমতি পায়। এর পরে এক যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে উত্তোলন করতে সক্ষম হয়।

জাহাজ উত্তোলন কাজে সম্পৃক্ত আব্দুল মন্নান বলেন, ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ১৪ ফুট এবং ১৭ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৫ একর মাটি ৭০ হাত খনন করে উত্তোলন করা হয়। উদ্ধার জাহাজের দামি যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে মেশিন, যে মেশিন বর্তমান বাজারে নেই বললেই চলে। থাকলেও নতুন মেশিনটির মূল্য হবে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা। তবে এই বিকল মেশিনটি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করলেও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

ট্যাগস :

৭০ হাত মাটির নিচ থেকে জাহাজ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের তেঁতুলিয়া নদীতে ৩৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া একটি জাপানি জাহাজ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাদার একাধিকবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত খুলনার আনসার উদ্দিন মিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অগ্রণী ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট’ সফলতা পেয়েছেন।

এক যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে মাটির ৭০ হাত তলদেশ থেকে ডুবে যাওয়া জাপানি পণ্যবাহী এ জাহাজটি উদ্ধার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যুতিক মালামাল নিয়ে এমভি মোস্তাবি নামে জাপানি জাহাজটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।

পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মিঠুয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে যায় জাহাজটি। এসময় বিআইডবব্লিটিএর পক্ষ থেকে জাহাজটি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, জাহাজ ডুবির স্থানটি প্রায় দু’যুগ আগে চর আকারে জেগে ওঠে এবং পরবর্তীতে এটি মিঠুয়া গ্রাম নামে পরিচিতি পায়। সেখানে ধীরে ধীরে ফসল আবাদ করাসহ বসতি গড়ে তোলা হয়। মিঠুয়া গ্রামের মাটির নিচের এই জাহাজটি শনাক্ত করাসহ তা উত্তোলনে একাধিক ঠিকদার ব্যর্থ হওয়ার পরে ২০১৩ সনে ফের দরপত্র আহ্বান করে সংস্থাটি। এতে অংশগ্রহণ করে খুলনার আনসার উদ্দিন মিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অগ্রণী ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট’। এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকায় বিদেশি এই জাহাজটি উত্তোলনে কাজ করার অনুমতি পায়। এর পরে এক যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে উত্তোলন করতে সক্ষম হয়।

জাহাজ উত্তোলন কাজে সম্পৃক্ত আব্দুল মন্নান বলেন, ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ১৪ ফুট এবং ১৭ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৫ একর মাটি ৭০ হাত খনন করে উত্তোলন করা হয়। উদ্ধার জাহাজের দামি যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে মেশিন, যে মেশিন বর্তমান বাজারে নেই বললেই চলে। থাকলেও নতুন মেশিনটির মূল্য হবে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা। তবে এই বিকল মেশিনটি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করলেও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।